প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে মেরে নিজেই লাশ নিলেন শ্বশুরবাড়িতে
পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে পোশাক শ্রমিক স্বামী প্রতীক হাসানকে হত্যা করেন স্ত্রী লিজা খাতুন (১৯)। পরে মরদেহ





শ্বশুরবাড়ি নিয়ে গিয়ে স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে শাশুড়িকে জানিয়ে লাশ দাফন করার চেষ্টা করেন। লিজার কথা শুনে প্রতীকের পরিবারের সন্দেহ হলে তারা





স্থানীয় থানা-পুলিশকে খবর দিলে বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল। জানা যায়, পরকীয়া প্রেমের বলি প্রতীক হাসানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক হাফিজুর মণ্ডল (৩৫) সহ





লিজা ও তাঁদের ৫ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় এক অভিযুক্ত পলাতক থাকলেও গতকাল মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় লিজা। নিহত স্বামী





প্রতীক হাসান টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কাজলা গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নিহত প্রতীক হাসানের (৩০) স্ত্রী লিজা আক্তার (১৮), তার মা লাকী বেগম, দাদি ফুলজান ও





চাচাতো বোন জামাই সুজন মিয়া ও প্রেমিক সেলিম। পুলিশ এবং স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ঘোনার দেউলি গ্রামের লেবু মিয়ার মেয়ে লিজা আক্তারের সঙ্গে প্রতীক হাসানের বিয়ে হয়।
বিয়ের পরই ঢাকার আশুলিয়া গিয়ে প্রতীক একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। লিজা ওখানেই গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। এক পর্যায়ে একই বাসায় সিরাজগঞ্জের সেলিম নামে এক ভাড়াটিয়া যুবকের সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে গত শনিবার এ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।
এ সময় লিজা ও পরকীয়া যুবক মিলে প্রতীক হাসানকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে সোমবার (২২ নভেম্বর) মরদেহ শ্বশুরবাড়ি নিয়ে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে তার শাশুড়িকে জানান। বিষয়টি সন্দেহ হলে তাদের আটক করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পরে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিলে লিজা আক্তার পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ওইদিন নিহত প্রতীকের বাবা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সাগড়দিঘী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, লিজার বক্তব্য অনুযায়ী লিজা এবং পরকীয়া প্রেমিক শাহীন শ্বাসরোধ করে তার স্বামী প্রতিক হাসানকে হত্যা করে।
ঘটনাটি আশুলিয়া এলাকায় ঘটেছে। তাই আমরা আটক লিজাসহ আরও দুজনকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) প্রতীক হাসানের বাবা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।