বাড়ির আঙিনায় একদম ছোট যায়গায় এই পদ্ধতিতে শসা রোপন করলে হবে ব্যাপক ফলন, জানুন স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি ভিডিও সহ!

যে টবে বীজ রোপণ করবেন তার নিচের দিকে ছোট ছোট ছিদ্র করে দিতে হবে যাতে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে। চারা গজানের এক সপ্তাহ পর

থেকে পরিমাণ মতো তরল সার প্রয়োগ করতে হবে এবং পাত্রের মাটির পরিমাণ অনুযায়ী পাঁচ দানা করে টিএসপি দিয়ে, টবের কিনারার দিকে

মাটি আগলা করে দিতে হবে। শশা গাছে সকাল-বিকাল পানি দিতে হবে। বাড়িতে খুব সহজেই টবের মধ্যে চাষ করুন শসা। বাড়ির সামনে যদি

জমি থাকে তাহলে তো কথাই নেই কিন্তু যাদের জমি নেই তারা দুঃখ করবেন না। বারান্দায় ছাদে টবের মধ্যে

সারা বছর ফলাতে পারেন শসা। খুব একটা পরিশ্রম না করেই, অনায়াসেই শসা গাছ থেকে আপনি ছোট সংসার এর জন্য  প্রয়োজনীয় ফসল পেয়েই যাবেন। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, হার্ট ভালো রাখতে, হজমশক্তি মজবুত করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতে শসার জুড়ি মেলা ভার।

তাই এবারে বাজারের থলি হাতে দোকানে গিয়ে শসা কিনতে হবে না।নার্সারি থেকে উন্নত মানের শসার বীজ সংগ্রহ করে আগের দিন রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন।‌ তবে এর আগে প্রয়োজন ভালো করে টবের মাটি প্রস্তুত করা।‌ একটু বড় আকারের টব বা ড্রাম ব্যবহার করতে পারেন শসা চাষের জন্য।শসা গাছের জন্য দোআঁশ মাটির ভীষণ প্রয়োজন।

মাটিকে রোদে ভালো করে গোবর সারের সঙ্গে মিশিয়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। প্রতিদিন নিয়ম করে জল দিতে হবে। ছয় সাত দিন পরে মাটিতে কিছুটা গর্ত করে বীজ দিয়ে দিতে হবে। বীজের উপরে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে।শসা গাছ লতানো গাছ। তাই একটু বেড়ে উঠলে মাচা করে দেওয়া সবচেয়ে ভালো। মাঝেমধ্যে মাটি খুঁচিয়ে সরিষার খোল পচা জল দিতে হবে।

খেয়াল রাখতে হবে শসা গাছের গোড়ায় যেন কোনভাবেই না আগাছা জন্মাতে পারে। সব সময় জায়গাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।শসা গাছের জাব পোকার আক্রমণ হতে পারে। তখন জলের মধ্যে গুঁড়ো সাবান গুলে স্প্রে করুন। তিন থেকে চার মাস পরে শসা গাছ বেশ বেড়ে উঠে শসা জন্মাবে। তা খাওয়ার উপযুক্তও হয়ে উঠবে।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করন 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*