মা হওয়ার পর ক্যারিয়ার নষ্ট হলে, হয়ে যাকঃ আলিয়া ভাট

অভিনয় থেকে শুরু করে প্রযোজনায় পদার্পণ, ২০২২ সালে সাফল্যের চূড়ায় ছিলেন আলিয়া ভাট। নতুন বছরেও তিনিই নজরে। রণবীর কপূরের সঙ্গে বিয়ে, তার পরই

সন্তান রাহার জন্ম— সব মিলিয়ে জীবনের অন্যতম সেরা অধ্যায় পেরোচ্ছেন। প্রথম হলিউড ছবি ‘হার্ট অফ স্টোন’ মুক্তি পাবে শীঘ্রই। আলিয়াকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন হলিউড তারকা সোফিয়া দি মার্টিনো। সুপারহিরো সিরিজ় ‘লোকি’তে

সিলভির চরিত্রে জনপ্রিয় মুখ তিনি। ‘গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’র পোস্টার ভাগ করে সোফিয়া লিখেছেন, “লাইক এ বস। মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া কাজ। বোঝাই যাচ্ছে,

আলিয়া ভাট যে কোনও মুহূর্তে পৃথিবীর দখল নিতে পারেন।” সত্যিই কি ছবির জগতে অধীশ্বরী হতে চলেছেন আলিয়া? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বললেন, “২০২২ সাল আমার জীবনে খুব শুভ হয়ে এসেছে, ঠিকই। অনেকটা সিনেমার মতো। ‘গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’ হোক বা

‘ব্রহ্মাস্ত্র’, এক একটি করে ধাপ। তার উপর আমার প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘ডার্লিংস’, সবই আশানুরূপ হয়েছে। যদি না-ও হত, তা হলেও আমি আবার পরিশ্রম করতাম। ভাল হয়েছে বলেও

করব। কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই।” ক্যারিয়ারের ভরা সময়ে হঠাৎ বিয়ে, সন্তান। সিদ্ধান্ত কি আদৌ পরিকল্পিত? নিজের ছন্দে কী ভাবে তাল মেলাচ্ছেন নায়িকা? আলিয়ার জবাব, “ঠিক বা ভুল বলে কিছু হয় না। আমার জন্য যা ঠিক, তা হয়তো অন্য কারও

জন্য ভুল। আমি সব সময় হৃদয়ের কথা শুনি। তাই, হ্যাঁ… যখন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভাল সময় চলছিল, তখনই বিয়ে করেছি। সন্তানের জন্মও দিয়েছি। কিন্তু মা হলে ক্যারিয়ার চৌপাট হয়ে যায়, কে বলেছে? আর যদি হয়ও, হোক। সন্তানের জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি কখনও আফসোস করব না। এ তো প্রাকৃতিক ব্যাপার। আমার তো মনে হয়, এটাই সবচেয়ে ভাল সিদ্ধান্ত। মা হয়ে জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছি।”

তেমনই আবার নিজেকে অভিনেতা হিসাবেও অগ্রাধিকার দিতে চান আলিয়া। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজেও ফিরবেন। বললেন, “যদি ভাল কাজ করি, আরও বেশি মানুষ আমার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হবেন। যদি কাজের প্রস্তাব না আসে, তা হলে বুঝতে হবে এটা তোমার সময় নয়। আমি কাজের গুরুত্ব বুঝি। তবে জীবন কিংবা বেঁচে থাকা আগে। দুটোর মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলি।”

জানালেন, মাতৃত্ব অনেক কিছু বদলে দেয়। সব কিছু অন্য ভাবে দেখতে শিখেছেন আলিয়াও। দায়িত্ববোধ কাকে বলে, তা মা না হলে বুঝতেন না। যেন হৃদয়ের কোনও এক গোপন কুঠুরির দরজা খুলে গিয়েছে। সেখান থেকে হু হু করে ঢুকছে বিশুদ্ধ বাতাস। নতুন বছরে কী অপেক্ষা করে রয়েছে, জানতে উদগ্রীব আলিয়া।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*