





এক ধরনের সপুষ্পক উদ্ভিদ, যার পাতা প্রাচীনকাল থেকে ত্বক, চুল, নখ, পশুর চামড়া ও পশম রঙিন করার কাজে





ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই উদ্ভিদের পাতার সাথে অন্যান্য দ্রব্য মিশিয়ে আধা-কৃত্রিম পদার্থ তৈরি করা হয়, সেটাও মেহেদি নামেই পরিচিত। বর্তমানে





আমাদের সংস্কৃতিতে মেহেদী কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায় বিয়ে, ঈদ, পূজো, নববর্ষ এর মত উৎসবগুলোতে। আসলে বর্তমানে মেহেদী যেন অন্য





এক উৎসবের নাম। ঈদের রাতের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায় মেহেদী দেওয়ার সাথে। চাঁদ রাতে হাতে মেহেদী পরার ধুম পরে যায় প্রায়





প্রতিটি বাড়িতে। ব্রোঞ্জ যুগ থেকেই দুনিয়াবাসীরা রঞ্জক হিসেবে মেহেদি ব্যবহার করে আসছে। দুনিয়ার বহু দেশে





এটি উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কাপড় ও চামড়া সংরক্ষণেও এর ব্যবহার হয়। মেহেদি ফুল থেকে সুগন্ধী তৈরি হতো বহু প্রাচীনকাল থেকেই, বর্তমান যুগে এর উৎপাদন আবার শুরু হয়েছে। পোকা দমনেও মেহেদি ব্যবহৃত হয়। লসোন নামক এক প্রকার পদার্থের উপস্থিতির জন্যই মেহেদিতে রঙ হয়। মেহেদির পাতাতেই প্রধানত: লসোন থাকে।
যে গাছের পাতায় লসোন বেশি সে গাছের ফলে বীজ কম হয়। আমরা মেহেদীকে বিভিন্ন কাজে লাগিয়ে থাকি। বিভিন্ন রকমের উৎসবে এই মেহেদীর কোন বিকল্প কোন কিছু আমরা খুঁজে পাই না। ছোট থেকে শুরু করে বড় বৃদ্ধ লোক সহ এই মেহেদী পড়া থেকে বাদ যায় না। মেহেদী দিলে আমাদের সবারই কোন না ভাবে সৌন্দযের বাহিভাব প্রকাশ করা যায়।
আমরা অনেক আছি যারা কিনা অনকে শখ করে এই মেহেদী দিয়ে থাকি। নিজেকে সুন্দর করে রাখতে বিভিন্ন অনুষ্ঠোনে এই মেহেদীর কোন বিকল্প পদ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই এই ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে যে নিয়ম মেনে সুন্দর করে নিজের হাতকে আকর্ষণীয় করতে পারবেন।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন>>>
Leave a Reply