





মাগুর বাংলাদেশের বহুল প্রচলিত মাছগুলোর মধ্যে একটি যার মূল প্রাপ্তিস্থান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এর স্থানীয় নাম মজগুর,





মচকুর বা মাগুর। আন্তর্জাতিকভাবে এটি ওয়াকিং ক্যাটফিস নামে পরিচিত। এই বিশেষ হাঁটার জন্য মাগুর মাছের বুকের কাছে পাখনা থাকে যা





ব্যবহার করে এটি সাপের মত চলাচল করতে পারে। এই মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র আছে যার মাধ্যমে এটি





বাতাস থেকে শ্বাস নিতে পারে। মাগুর মাছ সাধারণত ৩০ সে.মি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৪৭ সে.মি হতে পারে। মাছের গায়ে





কোন আঁশ থাকেনা। স্ত্রী মাছে কোন বলয় থাকে না। মাছের পৃষ্টদেশে ও পায়ুতে বড় বড় পাখনা থাকে। এই মাছ সর্বোচ্চ ১.১ঌ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। মাগুর মাছ বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোচীন, ফিলিপাইন, হংকং, দক্ষিণ চীন এবং ইন্দোনেশিয়াতে পাওয়া যায়। মাছ সাধারণত পানির তলদেশে খাল, বিল,
নদী-নালা, হাওড়-বাওড়, ধান ক্ষেতের কর্দমাক্ত পানি এমনকি উপকূলীয় এলাকায় ঈষৎ লোনা পানিতে স্বাভাবিকভাবে বিচরণ করে। মাগুর মাছের পুষ্টিগুণ ব্যাপক। অসুস্থ রোগীর খাদ্য হিসেবে এই মাছ বহুল প্রচলিত। প্রতি ১০০ গ্রাম মাগুর মাছে ৩২.০ গ্রাম আমিষ, ২.০ গ্রাম চর্বি, ১৭২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস এবং ০.৭ মিলিগ্রাম লোহা থাকে।
এই মাছের চাহিদা অনেক বেশি প্রত্যেক দেশে। যুবক ছেলেটি তার বুদ্ধি দিয়ে মুরগির ফাঁদ পেতে মাটির নিচ থেকে বিশাল মাছ ধরে লঙ্কা কান্ড করে বসল। মাছ ধরতে সবারই ভাল লাগে। খেতের ধারে ছোট গর্তে এই মাছ ধরে রীতিমত ভাইরাল হয়ে গেল যুবকটি।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন>>>
Leave a Reply