পুরো পৃথীবিতে ব্ল্যাক ডাইমন্ড আপেল কাঁপাচ্ছে, যার মূল্য ২০০০ হাজার করে!

লাল এবং সবুজ, এই দুটি রঙে আপেল চিরাচরিত চিত্র এটি। আপনিও নিশ্চয় এর ব্যতিক্রম কিছু দেখেন কি বা ভাবতেও পারছেন না। তবে

এবার চীনে পাওয়া গেল কালো রঙের আপেল। এটি ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল নামেই পরিচিত। আবার একে

চাইনিজ রেড ডিলিশিয়াসও বলেন স্থানীয়রা। হুয়া নিউ আপেলের বংশভূত এই ব্ল্যাক ডায়মন্ড দুর্লভ জাত এটি। তিব্বতের একটি পাহাড়ি শহরে

এই আপেলের সন্ধান মেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভৌগোলিক এবং জলবায়ুগত তারতম্যের কারণে

এই বিশেষ আপেলের এমন অদ্ভুত রঙ। তিব্বতের ছোটো শহর নাইংগিছিতে এই আপেলের চাষ হয়, যেখানে দিনের বেলায়

প্রচুর সূর্যের আলো পড়ে। অতিরিক্ত সূর্যের আলোর কারণে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি সরাসরি আপেলের ত্বকে পড়ে। আবার রাতের বেলা হুট করেই সেখানকার তাপমাত্রা নেমে যায়। দিন ও রাতের তাপমাত্রার এই পার্থক্যের কারণে এই আপেলগুলোর ত্বক গাঢ় কালো হয়। তবে এই আপেলের ওপরটা যতই কালচে ও গাঢ় হোক না কেন, ভিতরটা অন্যান্য আপেলের মতোই সাদা ও উজ্জ্বল।

তিব্বত ছাড়াও প্রায় একই রকম দেখতে এমন আপেল পাওয়া যায় ব্রিটেনেও। ওখানে যার নাম আরকানাস ব্ল্যাক। বিশেষজ্ঞদের মতে এই আপেল খেতে অন্য সাধারণ আপেলের মতো অতটা মিষ্টি ও সুস্বাদু নয়। তবে অন্ধকার জায়গাতে রাখলে এর স্বাদ বাড়ে। তবে চাইলে এই আপেলের নাগাল পাওয়া সত্যি মুশকিল। উৎপাদনের প্রায় ৭০ শতাংশ ব্ল্যাক ডায়মন্ড অ্যাপেল নিজেদের বাজারেই বিক্রি করেন চাষীরা।

তিব্বত ছাড়াও এই জাতের কাছাকাছি রকমের আপেল পাওয়া যায় যুক্তরাষ্ট্রে। যাদেরকে বলা হয় আরকানাস ব্ল্যাক। তাছাড়া এই আপেলের উৎপাদনও কম। এমনকি বেশিরভাগ কৃষক এই আপেল চাষই করেন না। তার কারণ, এই গাছ ফল দিতে সময় নেয় প্রায় পাঁচ থেকে আট বছর। আর আয়ু মাত্র ২ মাস।

তবে দুর্লভ হলেও স্বাদে ষোল আনা এই বিশেষ প্রজাতির আপেল। খেতে কচকচে ও সুস্বাদু হলেও অন্যান্য আপেলের মতো ব্ল্যাক ডায়মন্ডে তেমন স্বাস্থ্য উপকারিতা নেই। অন্যান্য আপেলে ফাইবার এবং রক্তচাপ কমানোর গুণাবলি যেখানে অনেকটাই বেশি পরিমাণে থাকে, সেখানে এই প্রজাতির আপেলে এ রকম কোনো পুষ্টি গুণাগুণ নেই। এ ছাড়াও এগুলোর মূল্যও অনেক বেশি। প্রতি আপেল পিছু দাম পড়ে যায় ৭ থেকে ২০ ডলার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*