গর্ত থেকে মাছটি উকি দিতেই, বিশেষ কাঁদায় মাছটিকে কামড় দিয়ে ধরল পাখিটি- ভাইরাল ভিডিও!

পাখি দিয়ে মাছ শিকার করা হয় সুদূর চীন এবং জাপানে। প্রায় ১৩০০ থেকে ১৫০০ বছর ধরে তারা

মাছ শিকারের এই পুরনো প্রথা মেনে আসছে। ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ এটি একটি প্রবাদ। যে প্রবাদে বাঙালির পরিচয়কেই

তুলে ধরা হয়েছে। এ পরিচয় হাজার বছরের। একবেলা মাছ ছাড়া যেন খাওয়াই হয়না। আর আমাদের দেশে

মাছ শিকারের রয়েছে অনেক পদ্ধতি। ছিপ ফেলে বড়শিতে গেঁথে কিংবা বিভিন্ন ধরনের জাল ফেলে। নতে অনেকটা অসম্ভব মনে হলেও

এটি সত্যি। পাখি মাছ শিকার করে আপনাকে এনে দেবে! তবে এ পদ্ধতি আমাদের দেশে দেখা যায় না। রমোর‌্যান্ট হচ্ছে

দীর্ঘ গলাওয়ালা একধরনের সামুদ্রিক মৎস্য শিকারি পাখি। এই পাখির মালিককে বলা হয় উশো। বিশেষ মাছ ধরার রীতিতে জাপানের গিফু অঞ্চলের নাগারা নদীতে নামানো হয় পানকৌড়িদের। ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে, মশাল জ্বেলে জেলে বা উশোরা মাছ ধরতে নামেন। সাধারণত ছোট্ট একটি ভেলা ও সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয়টি করমোর‌্যান্ট পাখি নিয়ে জেলেরা মাছ ধরতে যায়।

তারপর একটি নির্দিষ্ট স্থানে ভেলা রেখে পাখিগুলোর গলায় দড়ি বেঁধে ছেড়ে দেয়া হয় পানিতে। আমাদের দেশে কিন্তু একসময় ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার করা হতো। একে আঞ্চলিক ভাষায় ধাড়িয়া বা ধেড়েও বলা হয়। ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার করা বেশ পুরনো ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি। তবে কালের বিবর্তনে এ পদ্ধতি আজ প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। নদীতে জাল ফেলার সময় ভোঁদড়ের ঘরের দরজা খুলে দেয়।

জালের দুইপাশ নামিয়ে দেয় পানিতে। ভোঁদড়ও জালের সঙ্গে নেমে পড়ে পানিতে। বিশেষ কাঁদায় গর্ত থেকে মাছ ধরে তুমুল ভাইরাল হয়ে গেল এই পাখিটি। মাছ শিকার করতে ভালবাসে না এই রকম মানুষ খুবই কম দেখা যায়। বিশেষ কাঁদায় মাছের মাথায় কামুর দিয়ে এক-এক করে গর্ত থেকে মাছ তুলে আনতে লাগল শিকারী এই পাখিটি।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন>>>

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*