রাস্তায় জ্যামে আটকে থাকার দিন শেষ! এবার বাজারে এলো এই বিশেষ উড়ন্ত বাইক, যা উড়বে এক টানা ৪০ মিনিট

দিন দিন পৃথিবীর বোঝা বেড়েই চলেছে। এ বোঝা অন্য কোনো বোঝা নয়। এ বোঝা মানুষের বোঝা। সমীক্ষা বলছে ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীতে মোট জনসংখ্যা হবে ১০০০ কোটি। কিন্তু

সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়বে যানবাহন। কিন্তু পৃথিবী তো আর বড় হয়ে যাবে না। রাস্তা ঘাটও একই থাকবে। হ্যাঁ, নতুন রাস্তা ঘাট, ব্রিজ, ফ্লাই ওভার হয়তো বাড়ছে কিন্তু

সে প্রয়োজনের তুলনায় কম। তার সাথে শহরের ভিতরে তো আর ইচ্ছা মতো রাস্তা ঘাট বানানো যায় না। শহর গুলিরও তো ধারন ক্ষমতার সীমা আছে। এমনিতেই টোকিও, দিল্লি, লন্ডনের মতো পৃথিবীর বড় বড় শহর গুলো জনসংখ্যার ভারে ইতিমধ্যেই

ঝুকে পড়েছে। তাহলে আসন্ন যান জটের সমাধান কি? তারপরে ধরুন, অফিসে আপনার দরকারি মিটিং রয়েছে। কোনো কারণে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। উঠে কোনও

রকমে নাকেমুখে গুঁজে হয়তো দ্রুত তৈরি হয়ে বেরিয়েও পড়লেন। কিন্তু রাস্তায় নেমে দেখলেন বিশাল লম্বা যানজটের লাইন। সাংহাই বা টোকিও ছেড়ে দিন, দিল্লি বা

কলকাতা বা ঢাকাতেই এমন দৃশ্য হামেশাই দেখা যায়। কি করণীয় থাকে তখন?

ধরুন তখন যদি এমন হয় যে, হঠাৎ পাখনা মেলে যানজটকে পিছনে ফেলে মোটরবাইকে চেপে একেবারে হলিউডের কল্পবিজ্ঞান সিনেমার মতো উড়ে গিয়ে নামলেন একেবারে অফিসের সামনে! কেমন হবে ব্যাপার টা? আপনার এই রকম মনের ইচ্ছা যদি কোনো চায়ের আড্ডায় ব্যক্ত করেন তাহলে কোনো সাইক্রিয়াটিস্ট দেখানোর পরামর্শ উড়ে আসলেও অবাক হবার নয়। কিন্তু না, এমন কল্পনা এবার সত্যি হতে চলেছে জাপানের এক স্টার্ট আপ কোম্পানির হাত ধরে। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করল তাদের বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত মোটরবাইক। এই মোটরবাইকে চেপে সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট শূন্যে উড়ে যাওয়া যাবে।

কল্পবিজ্ঞান বা অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় এমন দৃশ্য গা সওয়া হয়ে গেলেও বাস্তবে এই ঘটনা প্রথম বার। বহু বছর আগে থেকেই এই রকম ‘হোভার বাইক’ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে আসছে বেশ কয়েকটি বহুজাতিক সংস্থা। কিন্তু প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, পরিকাঠামো এবং অর্থনৈতিক কারণে তা করে ওঠা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু জাপানের একটি অটোমোবাইল কোম্পানি এবার সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তৈরি করে ফেললো পৃথিবীর প্রথম হোভার বাইক ‘এক্সটুরিসমো’।

প্রাথমিক পর্যায়ে অল্প সংখ্যক কিছু প্রটো টাইপ বাজারে এনেছে তারা। এরপরে চাহিদা অনুযায়ী আরো বেশি পরিমাণে তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। বিমা এবং ট্যাক্স মিলিয়ে ভারতীয় মুদ্রায় সাত কোটি টাকার মতো দাম পড়বে এই মোটরবাইকের। প্রায় ৩০০ কেজি ওজনের এই মোটরবাইকটি আপাতত এক জন যাত্রী নিয়ে উড়তে পারে। পরে এটিতে পিলিয়ন যোগ করার চেষ্টা চালানো হবে। আর ২০২৫ সালের মধ্যে আসবে এর বৈদ্যুতিক সংস্করণও।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*