অভিনব কায়দায় দুই যুবক কেনো প্রকার টাকার খরচ না করেই মাটির নিচে তৈরি করলেন এক অদ্ভুত ডুপ্লেক্স বাড়ি। যা এখন রীতিমত ভাইরাল ইন্টারনেটে।

ভাতারের বিজয়পুর গ্রামে মাটির নীচে ঘর বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিল স্থানীয় দুই যুবক। যা দেখতে

ভিড় জমেছে এলাকার মানুষদের। সোশ্যাল সাইট থেকেই তারা শিখেছে এই ঘর বানানো, বলে জানায় দুই যুবক। প্রথমে বেশ কয়েকটি সিঁড়ি ভেঙ্গে

নামতে হবে মাটির নীচে। তারপরে বসার জায়গা, বাঁশের মাচা এবং বেশ কিছু ডিজাইনের তাক

তৈরি করা আছে ঘরের দেওয়ালের মধ্যে। মাটির উপর থেকে নীচে নামার সিঁড়ির মুখেই করা রয়েছে একটি বিশেষ ঢাকনা। বন্ধ করে দিলে ঘরের মধ্যে

কোনোকিছু প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানায় দুই যুবক। তাদের এই ঘর দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার মানুষজন। তবে

ওই মাটির নীচে ঘর বেশ ভয়ের বলে জানিয়েছেন এলাকার বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিরা। কারণ, ওই মাটির নীচে ঘরটি রয়েছে গ্রাম থেকে বেশ কিছুটা দূরে মাঠের মধ্যে। মাটির নীচে ঘরে যে কোন সময় বিষধর সাপ বা অন্য কোন হিংস্র জন্তু থাকার আশঙ্কা রয়েছে। না জেনে ঘরের মধ্যে ঢুকলে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে তাদের অভিমত।

এই নানা প্রশ্নের মধ্যেও, এই দুই যুবক এত সুন্দর একটা ঘর বানিয়েছে তা দেখে এলাকার সমস্ত মানুষ প্রশংসা করছেন।স্থানীয় বাসিন্দা শেখ দিলদার বলেন, নিজেদের ইচ্ছেতে দুই যুবক যে ঘর বানিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ঘরের যে ডিজাইন করা হয়েছে তাও সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সোশ্যাল সাইটে দেখে এত সুন্দর যদি ঘর বানাতে পারে দুই যুবক, তাহলে তারা আরও অনেক কিছু বানাতে পারবে।

দুই যুবকের ঘর বানানোর কাহিনীটা যদি আমরা শুরু থেকে বলতে যাই,তাহলে শুনি যুবক দুজন গ্রামের ভালো বন্ধু, তারা সবসময় চায় নতুন কিছু আবিষ্কার করে মানুষকে চমকে দিতে। তারা এই ঘর বানানোর আগে আরো অনেক কিছু নতুন নতুন জিনিস তৈরি করে দেখিয়েছে। তবে ওইগুলো এই ঘর বানানোর মতো তেমনটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়নি। কিন্তু তারা এই ঘর বানানোর পর থেকে মিডিয়ায় অনেকটা পরিচিতি লাভ করে।

তারা অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর তাদের বাড়ি থেকে প্রায় অনেকটা দূরে একটি খোলা জমির মধ্যে বাড়ি বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়।তবে বাড়িটি মাটির উপরে নয়, মাটির নিচে করার ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল ধরনের যন্ত্রপাতি নিয়ে আসে দুজনেই কাজে লেগে পরে। প্রথমে তারা দুটি গর্ত খনন করে নেই একটি গোলাকার এবং আর একটি বর্গাকার।

প্রায় বিশ দিন কাজ করার পর ভিতর একটি সুন্দর মাটির নকশা অঙ্কন করেছেন। যা দেখতে খুবই সুন্দর দেখাতো।  পরে এমাটির গর্তের উপরে খোলা ছাদের উপর একটি ঢাকনা তৈরি করল বাস ও খর দিয়ে। গর্তের ভিতরে সুইমিং পুলের মতো পানি আটকে গোসল করার জন্য জায়গা তৈরি করল পাশে রান্না করার জন্য কিচেন তৈরি করল বাঁশ দিয়ে থাকার খাট এবং

অন্যান্য আসবাবপত্র তৈরি করল। এরকম একটা ঘর বানাতে দুই যুবকের পায় তিন মাসের মত সময় লেগে গিয়েছে। তাদের এরকম সৃজনশীলতা দেখে গ্রামের সবাই মুগ্ধ। এবং তারা এটাও আশা করেছেন যে তারা ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছু এরকম নতুন নতুন জিনিস বের করে নিয়ে আসবে গ্রামের জন্য। এবং গ্রামবাসী তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেছেন।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*