





মানিকগঞ্জে পদ্মা,যমুনা,কালীগঙ্গা,ধলেশ্বরীর পানিতে ফসলী জমি, ঘর-বাড়ি ডুবে গেলেও জেলেদের সঙ্গে





শখের বশে সাধারণ মানুষ জাল নিয়ে ব্যস্ত হওয়ায় শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব। সাধারণ জেলেরা আয় বৃদ্ধি আর অন্যদের মৎস্য শিকারীদের জন্য তা





আনন্দের হলেও মাছের খামারিদের জন্য তা কষ্টের। হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকার সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে





অর্নাসে পড়ুয়া মো. আতিকুর রহমান রাফি বলেন,‘করোনার জন্য দীর্ঘদিন কলেজে ক্লাস না হওয়ায় বাড়িতে বসেছিলাম। বাইরে কোথাও





যাওয়ার সুযোগ না থাকায় এক ধরনের মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলাম। গত কয়েকদিনে পদ্মার পানি হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় আশেপাশের





রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এলাকার বিভিন্ন বাড়ির উঠানে পানি উঠেছে। এই পানিতে নওলা, কাতল, কই, পুটি, খুলসা মাছের ঝাঁক এসেছে। তাই ঝাকি জাল দিয়ে মাছ ধরতে বের হয়েছি। এতে মাছও ধরা হলো, নিজের মনের আনন্দও হলো।’ স্থানীয় উত্তম সরকার বলেন, ‘বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই। এ সময় সবাই ভোগান্তিতে থাকলেও শুধু মাছ ধরার মাঝে সবাই একটু নির্মল আনন্দ খুঁজে পায়।
তাই এলাকার ছোট বড় সবাই রাস্তার পাড়ে,বাড়ির উঠানে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছে।’ জেলেপাড়ার অজিত সরকার জানান, ‘বন্যার পানিতে বিভিন্ন ডোবা, পুকুর, বড় বড় ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছ বেড়িয়ে গেছে। তাই এখন যে কেউ এখন জাল ফেললেই মাছ ধরা পড়ছে। এতে আমাদের কিছু বেচাকেনা বেড়েছে। তবে জেলে পাড়ার জেলেদের চেয়ে মাছ ধরতে সাধারণ মানুষই বেশি মেতেছে।’
মো.লিয়াকত হোসেন নামের এক মাছ চাষী (খামারি) জানান, ‘গত কয়েক দিনের বন্যার পানিতে তার পুকুরের চাষ করা সব মাছ বের হয়ে গেছে। নিম্নাঞ্চলের মাছ চাষিদের সবার একই অবস্থা।’ এবার বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে বলেও জানান তিনি।এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকএস.এম.ফেরদৌস জানান, ক্ষতিগ্রস্ত মৎস খামারিদের তালিকা করা হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন..
Leave a Reply