ডোবায় কচুরিপনার নিচে লুকিয়ে ছিল প্রচুর কই ও মাগুর মাছ, পলো জাল দিয়ে মাছ ধরল গ্রামের বৌদি, তুমুল ভাইরাল ভিডিও।

শিং-মাগুর ও কৈ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর মাছ হিসেবে বহুল আলোচিত ও সমাদৃত। কিন্তু জলজ পরিবেশের আনুকূল্যের অভাব এবং

অতিরিক্ত আহরণজনিত কারণে এসব মাছ অধুনা বিলুপ্তির পথে। এসব মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার্থে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কার্যক্রম শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে আশাব্যঞ্জক সাফল্য অর্জন করেছে। ফলে

এ জাতীয় মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার উজ্জ্বল সম্ভাবনার দ্বারোদঘাটন হয়েছে। খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, পুকুর-দীঘি,

ডোবানালা, প্লাবনভূমি ইত্যাদি। এঁদো, কর্দমাক্ত মাটি, গর্ত, গাছের গুঁড়ির তলা ইত্যাদি জায়গায় এরা সহজেই বসবাস করতে পারে। আগাছা,  কচুরিপনা, পচা পাতা, ডালপালা ঘেরা জলাশয়ে বাস করতে এদের আদৌ কোন সমস্যা হয় না। শুষ্ক মৌসুমে গ্রাম বাংলায় খাল-বিলে পানি কমে গেলে দেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আশ্রয় নেয় জলাশয়ের তলদেশের আগাছাপূর্ণ স্থানে।

তখন কম পানিতে পলো দিয়ে মাছ শিকার করা সহজ। এ সময়টাতে মাছ ধরতে আনন্দ পান সৌখিন সব মৎস্য শিকারিরা।  পলো নিয়ে দলে দলে একসঙ্গে খালে-বিলে বা নদীতে মাছ ধরাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় পলো বাওয়া, বাউত উৎসব বা পলো উৎসব। আড়াই থেকে তিন ফুট লম্বা আকৃতির

এ খাঁচা সদৃশ পলো পানিতে তলদেশে ফেলে ওপরের ফাঁকা অংশ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে মাছ শিকার করা হয়। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই চিরচেনা প্রাচীন ঐতিহ্য ‘পলো উৎসব’। সম্প্রীতি দেখা যাই যে,ডোবায় কচুরিপনার নিচে লুকিয়ে ছিল প্রচুর কই ও মাগুর মাছ, পলো জাল দিয়ে মাছ ধরল গ্রামের বৌদি, তুমুল ভাইরাল ভিডিও।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন>>>

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*