একেই বলে মায়ের স্নেহ! অসুস্থ বাছুরকে স্কুটিতে নিয়ে যাওয়া দেখে চিন্তায় ব্যাকুল হয়ে পিছনে ছুটে চলেছেন মা গরু, তুমুল ভাইরাল ভিডিও!

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে মায়ের অবদান অনেকখানি। একমাত্র মা ই আমাদের আগলে রাখে এবং

কোলে পিঠে করে মানুষ করে। তবে হ্যাঁ মায়ের থেকে বাবার অবদানও আমাদের জীবনে কিছু কম নয়। কিন্তু আমাদের সকলের কাছেই

আমাদের মা যেন একটু বেশি প্রিয় হয়। নিজের সন্তানকে সব ধরনের বিপদ থেকে আগলে রেখে বড় করে এই মা। সন্তানের একটু কিছু হয়ে গেলে ভেঙে

পড়েন তাঁরা। তাই পৃথিবীর সব মা ই আমাদের কাছে ভগবানের সমান। ভগবানের স্থানে বসাই আমরা আমাদের মা বাবাকে। সোশ্যাল মিডিয়া খুললে

আপনারা মা দের কে নিয়ে অসংখ্য ভিডিও দেখতে পাবেন। সব মা ই তাদের সন্তানকে আগলে রাখে সকল বিপদ থেকে। সেই মা কোন মানুষ হিসেবে

হোক বা কোন পশু পাখি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি মায়ের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেই ভিডিও দেখলে আপনার ও চোখ দিয়ে জল পড়তে বাধ্য হবে। সন্তানের কিছু হয়ে গেলে একটি মায়ের যে কত কষ্ট হয় এই ভিডিও দেখে তা স্পষ্ট বুঝতে পারবেন। সম্প্রতি ফেসবুক থেকে ভাইরাল হয়েছে এই অসাধারণ ভিডিওটি। যেখানে দেখা গেল একটি গরু কি স্কুটির পিছনে সমানে দৌড়ে দৌড়ে যাচ্ছে।

এবার প্রশ্ন হল ওই স্কুটির পিছনে কেন গরুটি দৌড়াচ্ছে? আসলে ওই স্কুটির মধ্যে দুইজন যুবক একটি ছোট্ট বাছুরকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। আসলে এই ছোট্ট বাছুরটির উপর দিয়ে একটি গাড়ি চলে গেছে, যার ফলে এই বাছুরটির খুবই খারাপ অবস্থা। আর সেই জন্যই এই স্কুটির পিছনে দৌড়ে দৌড়ে যাচ্ছে এই গরুটি। কারণ ইনিও একজন মা।

সন্তানের এরকম অবস্থা দেখে সে স্কুটির পেছনেই দৌড় দিয়েছে। কারণ সে বুঝতে পেরেছে যে তার সন্তানের, অবস্থা খুবই খারাপ এবং এই দুই ব্যক্তি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। আর এই মা গরু বসে না থেকে স্কুটির পেছন পেছনেই হাসপাতালে চলে গেছে। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও দেখে অনুরাগীদের চোখে জল এসে গেছে।

এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে একটি মা তার সন্তানকে কতটাই না ভালোবাসেন, আর সেই মা কোন মানুষ হোক বা কোন পশু পাখি। ভিডিওটি একেবারে মন কেড়ে নিয়েছে নেট জনতাদের। এদিকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই দুই ব্যক্তিকে যারা এই ছোট্ট বাছুরকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। ভিডিওটি ইতিমধ্যেই তিন দশমিক চার লক্ষ মানুষ দেখে নিয়েছেন।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন>>>

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*