একেই বলে বন্ধুত্বের স্নেহ! বিড়ালের পিঠে চেপে আনন্দে করে কলা খেতে মেতেছে খুদে বাঁদর ছানা, তুমুল ভাইরাল ভিডিও!

সোশ্যাল মিডিয়ার জারিজুড়ির কাছে এখন কেউ টিকতেই পারছে না। এখানে কখন কার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাবে, তা

ধরতেই পারবেন না। আজকাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে একেকটা ট্রেন্ডিং গান আমাদের মাতিয়ে রাখছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, ইন্টারনেট আমাদের

কী ভাবে, দিনে দিনে সবার কাছে আপন হয়ে যাচ্ছে। মানুষ যখন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া নামক প্ল্যাটফর্মটা বুঝতে শিখেছে তখন থেকেই

মানুষের অজানা, বলে আর কিছুই নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক জিনিস আছে যা সাধারণত আমাদের চারিপাশে দেখা যায় না। তেমনি সোশ্যাল

মিডিয়া থেকে উঠে আসে অনেক প্রতিভাধারী মানুষ। তবে মাঝে মাঝে এইসব ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন কিছু ভিডিও ভাইরাল হয় যেগুলো দেখে

আমরা পুরো অবাক হই। সম্প্রতি এমনই এক বিড়াল ও বাঁদরের ঘটনা দেখে, আনন্দ মুখরিত হয়েছে নেটবাসীরা। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ছোট্ট পোষ্য বাঁদরের ছানা, একটি বড় বিড়ালের পিঠের উপর বসে রয়েছে। তারা দুজনেই বাগানের উপর রাখা একটি নরম বালিশের উপর বসেছিল। বাঁদর ছানাটি রীতিমতো বিড়ালটির পিঠ আঁকড়ে বসেছিল!

তবে তাতে বিড়ালটির কোন রাগ-বিরক্তি নেই! জানা যায় বাদরটির নাম ‘মলি’, তার সাথে বিড়ালটির ভিষণ বন্ধুত্ব। মলি যদি দুধের বোতল থেকে দুধ খায়, তাহলে বিড়ালটিও নিজের খাবার খেতে বসে; সেরকম চিত্র ভিডিওতে ধরাও পড়েছে। বাঁদরটি কে আবার জামা-প্যান্ট পড়তে দেখা গেছে ভিডিওতে। তবে তাদের মালকিনও দুজনকেই সমান যত্নে বড় করেছে; একজনকে কলা খাওয়াচ্ছে, তো অন্যজনকে ভাত খাওয়াচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার মানুষ এই বিড়াল আর এই বাঁদরের মিষ্টি বন্ধুত্বকে খুবই পছন্দ করেছেন। আর ভাইরাল ভিডিও দেখে স্পষ্ট বোঝা গেছে যে বাঁদর ছানাটি এই বিড়ালটিকে খুবই ভালোবাসে আর সেই জন্যই তাকে সে আঁকড়ে ধরে রয়েছে। আর ভিডিওতে একটি মহিলাকেও থাকতে দেখা গেছে যিনি এই বাঁদর ছানাকে খুবই ভালোবেসে আদর করে কোলে শুইয়ে কলা খাইয়ে দিচ্ছিলেন।

ভিডিওটি ইউটিউবে ‘মলি মাঙ্কি’ নামের একটি চ্যানেল থেকে আপলোড করা হয়, যা বর্তমানে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ১১ লক্ষ ভিউজ পেয়েছে, প্রায় ৮ হাজার মানুষ ভিডিওটি পছন্দ করেছে। এক বছর পুরনো এই ভিডিও পুনরায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*