ফাস হলো মাচায় মিষ্টি কুমড়া চাষ করার এক অভিনব কৌশল! এই পদ্ধতি মেনে কুমড়া চাষ করলে গাছ ভর্তি ধরবে কুমড়া। রইল স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি

মিষ্টি কুমড়ো এক প্রকার আরোহী লতা জাতীয় গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cucurbita moschata। মিষ্টি কুমড়ো দেখতে সাধারণত

সবুজ-হলুদ বর্ণের হয় ৷ কুমড়ো আমরা কম বেশি সারা বছরই দেখতে পাই । মিষ্টি কুমড়ো ভিটামিন এ সমৃদ্ধ উৎকৃষ্ট সব্জি। কুমড়ো পুষ্টিকর একটি

খাদ্য এটি শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী । মিষ্টি কুমড়োর পাতা ও কচি ডগা শাক হিসেবে বেশ সুস্বাদু । প্রায় সারা বছরই

কুমড়ো চাষ করা যায় । কুমড়ার জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু প্রয়োজন। তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চলে গেলে গাছের দৈহিক বৃদ্ধির হার

কমে যায়। সুনিষ্কাশিত জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোঁআশ বা এঁটেল দোঁআশ মাটি মিষ্টি কুমড়ো চাষাবাদের জন্য উওম। মিষ্টি কুমড়ার জন্য

মাটির সর্বোত্তম অমস্নতা ৫.৫-৬.৮। চারা সাধারনত পলিব্যাগে তৈরি করা হয়ে থাকে । এই পদ্ধতিতে চারা তৈরি করা ভাল। পলিব্যাগের আকার ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি হতে হবে । ১৫ থেকে ২০ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর কুমড়োর বীজ বপন করতে হবে । অন্যদিকে ৬:৪ অনুপাতে দোআঁশ মাটির সঙ্গে গোবর-ছাই মিশিয়ে নিয়ে বীজতলা তৈরি করে নিতে হবে ৷

আগাছা থাকলে তা পরিষ্কার করে চারা গাছের গোড়ায় কিছুটা মাটি তুলে দিতে হবে। মাঝে মাঝে নিড়ানি দিয়ে গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে পুরুষ ফুলের রেণু স্ত্রী ফুলের উপর ছড়িয়ে দিলে উৎপাদন বাড়বে। গাছের গোড়ার দিকে ছোট ছোট শাখা-প্রশাখা বের হয় । এগুলোকে শোষক শাখা বলে।  শোষক শাখা গাছের বৃদ্ধিতে বাধা দেয় ও ফলন কমিয়ে দেয়।

ভালো ফলন পেতে হলে মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য জমিতে সব সময় যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুয়ায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে পরিবেশ এবং মাটির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সব সময় জৈব সার ব্যবহার করা উচিত । বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। মিষ্টিকুমড়া কচি অবস্থা থেকে শুরু করে পরিপূর্ণ পাকা অবস্থায় খাওয়া যায়।

তাই কচি অবস্থা থেকেই ফসল সংগ্রহ শুরু হয়। কুমড়া বেশ পাকিয়ে সংগ্রহ করলে অনেকদিন ঘরে রাখা যায়। কুমড়োর চারা রোপনের তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়৷ কুমড়োতে হলদে ভাব এলে তা সংগ্রহ করা যেতে পারে৷কুমড়ো গাছে পোকা-মাকড় বেশি আক্রমন করে তাই পোকা দেখা মাত্রই গাছে ঔষধ দিতে হবে । অথবা পোকামাকড় ধরার ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে৷ অথবা নিম তেল, সাবান গোলা জল স্প্রে করা যেতে পারে৷

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*