





রিকশা বা রিক্সা বা সাইকেল রিকশা একপ্রকার মানবচালিত মনুষ্যবাহী ত্রিচক্রযান, যা এশিয়ার, বিশেষ করে





দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোতে প্রচলিত একটি ঐতিহ্যবাহী বাহন। যদিও দেশভেদে এর গঠন ও আকারে বিভিন্ন পার্থক্য দেখা যায়। জাপানী রিকশাগুলো





অবশ্য তিনচাকার ছিল না, সেগুলো দুই চাকায় ভর করে চলতো, আর একজন মানুষ ঠেলাগাড়ির মতো করে টেনে নিয়ে যেতেন,





এধরনের রিকশাকে ‘হাতেটানা রিকশা’ও বলা হয়। সাধারণত ‘রিকশা’ বলতে এজাতীয় হাতে টানা রিকশাকেই বোঝানো হয়ে থাকে। সম্প্রতিককালে





(২০১১) সাইকেল রিকশায় বৈদ্যুতিক মোটর সংযোজন করার মাধ্যমে যন্ত্রচালিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং





ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এজাতীয় রিকশার প্রচলন দেখা যায়। জীবন নাটকের চেয়েও নাটকীয়। অনেক মানুষের জীবন আছে যা সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়েছে। আজ আপনাদের জানাবো নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক নারীর গল্প। মেয়েটির নাম রুমানা। তিনি গত দেড় মাস যাবৎ অটো রিকশা চালাচ্ছে। তার বাবা তাদের রেখে অন্যথায় চলে গেছে।
বাবার এই চলে যাওয়া মা মেনে নিতে পারেননি। তাই সে তার সন্তানদের জন্য তার স্বামীকে খুঁজতে বের হয়। আর ঠিক সেই সময় এক প্রাইভেট কারের সাথে ধাক্কা লেগে তার পা ভেঙে যায় এবং মাথায় আঘাত লাগে। এরপরে তাকে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তার মা কিছুদিন পর পাগল হয়ে যায়।
মেয়েটি তার এক ফুপুর দেয়া এই রিকশা চালিয়ে সংসার চালায়। যখন জানতে চাওয়া হয় মেয়েটি কোথায় থাকে তখন মেয়েটি বলে সে থাকে ফার্মগেট তেজকুনিপাড়ায়। সেখানে তার ফুপি বাঁশ দিয়ে একটি ঘর বানিয়ে দেয়। তবে সে ঘরের কোন ভাড়া দিতে হয় না। মেয়েটিকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় তুমি যে রিকশা চালাচ্ছে তোমাকে লোকে কিরকম চোখে দেখে?
তখন মেয়েটি খুব সুন্দর করে উত্তর দেয় যে, আমাকে কে কিভাবে দেখলো সেটা আমার দেখে লাভ নেই কারণ আমি খারাপ কাজ করে ইনকাম করছি না আমি আমার নিজের পরিশ্রম দিয়ে ইনকাম করছি। আর মানুষের কথা কানে নিলে আমার সংসার চলবে না।তবে চাকরির ক্ষেত্রে যদি আমার সুরক্ষা থাকে তাহলে আমি অবশ্যই নিব।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Leave a Reply