





ভারতে ভট্টাচার্যি বাড়িতে দুর্গাপূজায় ঢাকের বাজনা হতো। সেই ঢাকের ছন্দে বাড়ির ছোট্ট মিলনের





সেকি বাজনা! কখনো কখনো বাজাতে বাজাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলত সে। ঢাক-ঢোলের সেই বোল আর ছন্দ তার মনে





এমন ভাবে গেঁথে গেল যে, বাড়ির হাঁড়ি-পাতিল, কাঁসার থালা—সামনে যেটাই পড়ত, সেটাই তুলে নিয়ে





বাজিয়ে পুরো বাড়ি গরম করে রাখত। বড় দুই বোন নীলিমা আর প্রতিমা ভট্টাচার্য গান করতেন। বাবা চাইলেন,





মিলনও গান করুক। কিন্তু বাদ সাধলেন মিলনের দাদু। বললেন, ‘ওর যেহেতু রিদমে বেশি আগ্রহ,





তাই ওকে তবলা শিখতে দে।’ নিজের তবলা সেট নাতির হাতে তুলে দিলেন। বাড়িতে শিক্ষক রাখা হলো। চার বছর বয়সে শুরু হলো মিলনের তবলা শেখা। দাদুর সেই তবলায় প্রথম হাতেখড়ি। ভারতে তবলার অনন্য শিল্পী ভট্টাচার্য। কথা হচ্ছিল গুণী এই তবলাশিল্পীর সঙ্গে। স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম গুরু ছিলেন ওস্তাদ লাল দাস। তাঁর কাছে দীর্ঘ ১৯ বছর আমি তবলার তালিম নিই।
ছোটদের তবলার লহড়ার একটি প্রতিযোগিতা হয়। মাস্টার মশাইয়ের চার ছাত্র সেখানে অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে আমি একজন। প্রতিযোগিতায় কাঞ্চন (মাস্টারমশাইয়ের ছাত্র) প্রথম হয় আর আমি দ্বিতীয় হই। তখন থেকেই আমি আমার দিদিদের সঙ্গে মঞ্চে বাজানো শুরু করি।’ভট্টাচার্য তবলার লহড়া (একক পরিবেশনা) বাজাতে শুরু করেন।
প্রথম মঞ্চে বাজান তাঁর দিদি প্রতিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে। বোনের পর শিল্পী দম্পতি এ কে মান্নান আর জুলিয়া মান্নানের সঙ্গে প্রথম মঞ্চে বাজান তিনি। পাশাপাশি মঞ্চনাটকের আবহ সংগীতে তবলা বাজাতেন।ঢাকায় আসেন মিলন ভট্টাচার্য। বললেন, ‘চট্টগ্রামের একটা অনুষ্ঠানে প্রথম আমার বাজনা শোনেন চলচ্চিত্রনির্মাতা হুদা মিঠু। তিনিই আমাকে ঢাকা নিয়ে আসেন।
প্রথম বাজাই বাংলাদেশ টেলিভিশনে।চলচ্চিত্রে বশির আহমেদের সংগীত পরিচালনায় প্রথম বাজান বর্গি এল দেশে ছবির গানে। মিলন ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওই ছবির ১০টি গান বাজিয়ে রাতে যখন নারায়ণগঞ্জে সুরকার রাজা হোসেন খানের বাড়িতে যাচ্ছি, তখন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হই। প্রায় তিন মাস আর কাজ করতে পারিনি।’
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Leave a Reply