





সাহারা মরুভূমির বুকে বিচরণকারী সিংহের পরিচিত পশুরাজ হিসাবে। অন্যদিকে পাখিরাজ্যে





এই আসন ঈগলের দখলে। পাখিরাজ্যে অসংখ্য প্রজাতির পাখির বিচরণ থাকলেও, কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে





ঈগলের ঝুলিতেই গেল এই বিশেষ মর্যাদা? ঠিক কোন কোন পরিমাপকের উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির পাখিকে অন্য পাখিদের ওপর





শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করা যায়, সেদিকে আমরা মনোনিবেশ করবো। সেই সাথে এই নিবন্ধে





উন্মোচন করা হবে ঈগল পাখির রাজা হবার নেপথ্যের কারণও। অনেকে শ্রেষ্ঠত্বের পরিমাপক হিসেবে বুদ্ধিমত্তাকে





এগিয়ে রাখতে চাইবেন। যেকোন প্রাণীর উন্নত বুদ্ধিমত্তা নিঃসন্দেহে সেই প্রাণীকে শ্রেষ্ঠত্ব বিচারের দৌড়ে অনেকখানি এগিয়ে রাখবে। কিন্তু এক্ষেত্রে ঈগল তো পাখি জগতের সবচেয়ে বুদ্ধিমান পাখি নয়। পাখিদের মধ্যে কাক, কাকাতুয়া, তোতা এসব প্রজাতির পাখি বুদ্ধিমত্তার বিবেচনায় প্রথম সারির পাখি। এমনকি প্রাণীজগতের অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণীদের নামের তালিকায় রয়েছে এসব পাখির নাম।
যদি বুদ্ধিমত্তাকে শ্রেষ্ঠত্বের পরিমাপক হিসেবে বিবেচনা করা হতো তাহলে নিঃসন্দেহে এই পাখিগুলো শ্রেষ্ঠত্বের দৌড়ে ঈগলের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকত। উপরন্তু মস্তিষ্কের আকার বিবেচনায় পাখিদের মধ্যে সর্ববৃহৎ মস্তিষ্কের অধিকারী তোতা পরিবারভূক্ত ম্যাকাও, ঈগল নয়। পাখি জগতে একমাত্র ঈগলই সবচেয়ে শক্তিশালী যার পায়ে করে ভারি শিকার বহন করার সক্ষমতা রয়েছে।
ঈগলের পা এবং নখ এতটাই শক্তিশালী যে এগুলো শিকারের হাড় পিষ্ট করতে ১১০ পাউন্ডের (৫০ কেজি) বেশি চাপ প্রয়োগ করতে পারে।ঈগল এক ধরনের বড় আকারের পাখি।এরা যথেষ্ট শক্তিধর, দক্ষ শিকারি। আজ আমরা এই পাখিটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জানব।ঈগল সাধারণত বনে, ঘন জঙ্গলে বসবাস করে থাকে।
পৃথিবীতে ৬০ প্রজাতির ঈগল দেখতে পাওয়া যায়।বানর, ছোট জাতের পাখি, টিকটিকি, মাছ, হাঁস-মুরগির ছানা খেয়ে জীবন ধারণ করে থাকে।মাছ শিকার করেছে ঈগলটি।একটি পূর্ণবয়স্ক ঈগলের ওজন প্রায় ৩০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। লম্বা হয় প্রায় ৩০-৩৫ ইঞ্চি। পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ঈগল সাড়ে চার কিলোমিটারের বেশি ওপরে উঠতে পারে। ঈগল ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে।
শীতকালে এরা তুলনামূলক কম শীত এলাকার দেশে চলে যায়। এরা জনমানব এলাকার বাইরে এবং কমপক্ষে ১০০ ফুট ওপরে গাছের ডালে বাসা তৈরি করে।প্রজাতি ভেদে ঈগল এক থেকে পাঁচটি পর্যন্ত ডিম পাড়ে।ডিম পাহারা দিচ্ছে মা ও বাবা ঈগল।ঈগলের দৃষ্টিশক্তি মানুষের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি। তিন মাইল দূরের বস্তুকেও তারা স্পষ্ট দেখতে পারে।ঈগল গড়ে ২০ বছর বাঁচে। খাঁচায় বন্দি এবং চিড়িয়াখানার ঈগলরা আরও বেশি দিন বাঁচে।
পোষা ঈগল।ঈগল কখনও ছোট পাখিদের সঙ্গে মেশে না বা ওড়ে না। ঈগল সর্বদা জীবিত প্রাণী খায়। আগে থেকে মৃত বা পচে যাওয়া খাবার এরা খায় না।ঈগল কান্না করতে পারে না। ওরা সাঁতারও জানে না।ঈগল সাধারণত আকাশেই বসবাস করে এবং বনের পশু পাখির উপর আক্রমণ করে মুরগির ছানার ওপর সব সময় তারা আক্রমণ করে না।কিন্তু খাদ্যের চাহিদা সকল প্রাণীর রয়েছে।
মানুষ যেমন বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য প্রয়োজন ঠিক তেমনই পশুপাখির ও বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত খাদ্য প্রয়োজন।আকাশের প্রাণী গুলো যখন বনে স্বীকার করতে পায়না।তখন এগুলো মানুষের বাড়ির গৃহপালিত পশু পাখির উপর আক্রমণ করে।তবে ঈগল একটি ভয়ঙ্কর প্রাণী তা আমরা আপনাদেরকে আগেই বলেছি।
এই ভিডিওটিতে একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে সুযোগে পাখিরাজা ঈগলকে আক্রমণ করে বসে আছে মোরগ। দেখা যাচ্ছে মোরগের পায়ের নিচে ছটপট করছে ঈগল পাখি। আসলে এরকম দুঃসাহস সকল পশু পাখিদের মধ্যে দেখা যায় না।দেখা যায় দুষ্ট ঈগলপাখি বারবার আক্রমণ করেও হেরে যাচ্ছে ক্ষুদ্র মোরগের কাছে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Leave a Reply