





ছাগল মানুষের গৃহপালিত অনেক পুরাতন প্রাণী।ছাগলকে সাধারণত গরিবের গাভী বলে উপাধি দেয়া হয়ে থাকে এবং





কম পূঁজির ব্যবসার মধ্যে এটি বর্তমানে অধিক লাভজনক একটি ব্যবসা।বর্তমানে প্রচুর মানুষ পারিবারিক খামারে বা গৃহস্থালীতে ছাগল পালনের মাধ্যমে





দুধ এবং মাংসের চাহিদা পূরণ করছেন, এছাড়াও ছাগলের দুধ, মাংস, পনির বিক্রি করেও অর্থ উপার্জন করছেছাগলের (Goat) দুধ থেকে





মাংস খুবই সুস্বাদু। এখন অনেকেই ছাগল প্রতিপালন করে বহু অর্থ অর্জন করেছেন। ছাগল পালনের ব্যাবসা আর দারিদ্র্যপীড়িত পেশা নেই। দেশ থেকে





বিদেশে এর মাংস রপ্তানি করা হয়। বাজারে এর দাম হয়ে থাকে কেজিতে ৭০০-১০০০ টাকা। তবে একটি ছাগলের





দাম কোটি টাকা শুনেছেন কখনো? দাম শুনে নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন। আজ আপনাদের এমনই এক ছাগলের কথা বলতে যাচ্ছি, যার দাম বিশ্বরেকর্ড (World Record) করে ফেলেছে। কি বিশেষত্ব রয়েছে এই ছাগল? যার জন্য এত দাম। চলুন প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন। ছাগল পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। অনাদিকাল থেকেই ধারাবাহিক ভাবে চলে এসেছে।
সাধারণত দুধ, মাংস এবং লোম সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পালন করা হয়। বহুমুখী ব্যবহারের কারণে বর্তমানে এটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে এবং খুব কম বিনিয়োগের প্রয়োজন। বাণিজ্যিক ছাগল পালন ব্যবসায় একটি দেশের অর্থনীতি ও পুষ্টিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। ছাগল বহু-কার্যকরী প্রাণী।এত দাম দিয়ে বিক্রি হওয়ার পিছনে কি কারণ রয়েছে? কি বিশেষ গুন রয়েছে ছাগলটির মধ্যে? এ নিয়ে নানা প্রশ্ন বেঁধেছে মানুষের মনে।
চলুন তাহলে বিশ্বরেকর্ড করা ছাগলের গুনাগুন জেনে নিন। এই ছাগলটি একটি বিশেষ জাতের ছাগল। এই ধরণের ছাগলগুলির গায়ে বড় বড় লোম থাকে। বাজারের চাহিদাও অনেক বেশি। বিশেষত মাংসের জন্য এর প্রবল চাহিদা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ছাগলটি উন্নত জাতের, যা অন্য জাতের ছাগলকে উন্নত করতে সাহার্য করে। এগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পায়।পৃথিবীতে এমন অনেক ছাগল আছে। যার মূল্য লক্ষ ছাড়িয়ে যায়।
ছাগলের এতো দাম তা এই প্রতিবেদনটি পড়লে ভালো করে বুঝতে পারবেন।শুধু ছাগল বিক্রি করেই আয় 1 কোটি 32 লক্ষ টাকা।এত টাকার ছাগল বিক্রি করা হয় নিলামের মাধ্যমে।হিমাচল প্রদেশের বালোকনাথ মন্দিরে ভক্তরা ছাগল দান করে থাকেন।কিন্তু এই মন্দিরে পশুবলি হয় না। তবুও ভক্তরা এখানে ছাগল দান করে যান।মান্যত করে এখানে ছাগল দান করে চলে যান ভক্তরা।
তবে 2018 সালের থেকে গত বছর অর্থাত্ 2019 সালে ছাগল বেশি বিক্রি করা হয়েছে।মন্দিরের হিসেব অনুযায়ী 2018 সালে মোট ছাগল বিক্রি করা হয় 5825 টি। সেই তুলনায় 2019 সালে ছাগল বেশি বিক্রি হয়েছে।2019 সালে 6371 টি ছাগল বিক্রি হয়েছে।এই ছাগল বিক্রি করে আয় হয়েছে 1 কোটি 32 লক্ষ 15 হাজার 800 টাকা।
2018 সালের তুলনায় প্রায় 13 লক্ষ টাকা বেশি বিক্রি হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের থেকে জানা গিয়েছে,প্রতি সপ্তাহের দুদিন করে নিলাম করা হয় ছাগল।প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও শুক্রবার নিলাম প্রক্রিয়া চলে মন্দিরে।এতো টাকার ছাগল বিক্রি করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে এই মন্দির কর্তৃপক্ষ।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Leave a Reply