





সমুদ্রে একটা লঞ্চ অতিরোক্ত মাল লোড করে ফেলে মাঝ নদীতে সেই লঞ্চটি ডুবে যায়।লঞ্চ স্মৃতি উস্কে ফের ডুবে গেল একটি লঞ্চ। তবে





এটিতে কোনও যাত্রী ছিল না, ছিল কেবল চালের বস্তা। লঞ্চ দু’জন মাঝি বিপদ আঁচ করে আগেই জলে ঝাঁপ দেওয়ায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে





সোমবার সকালের এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে লঞ্চ পারাপারে নজরদারি নিয়ে।ঝড়বৃষ্টির রাতে ফেরিঘাটে থাকা লঞ্চ হুড়মুড়িয়ে এক সঙ্গে





অনেকে উঠতে গেলে লঞ্চ ভেঙে যায়। সেই ঘটনায় সলিলসমাধি ঘটেছিল ২০ জনের। মৃতদের সিংহভাগই ছিলেন ভবাপাগলার মেলায় আসা মানুষজন। এই ঘটনার পরই





ফেরি চলাচল নিয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়। গত ১ অগস্ট থেকে কালনা ফেরিঘাটে লঞ্চে পারাপার শুরু হয়েছে। ফেরিঘাট থেকে বার্জে মালপত্র পরিবহণের ব্যবস্থাও আছে। কিন্তু





সামান্য সাশ্রয়ের জন্য বেশ কিছু ব্যবসায়ী নিজেরাই নৌকা ভাড়া করে মাল নিয়ে যান ওপাড়ে। এদিনও ওপাড়ে চাল নিয়ে যাওয়ার জন্য লঞ্চ বহন ক্ষমতার বেশি চালের বস্তা চাপাতেই
তা যায় ডুবে। কালনা ফেরিঘাটের ম্যানেজার জয়গোপাল ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে ফেরিঘাটের ইজারাদারের কোনও যোগ নেই। এপাড় থেকে
ওপাড়ে চাল যায়। ফেরিঘাট থেকে বার্জে মাল পারাপারের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী দু’পয়সা বাঁচানোর জন্য নিজেরাই লঞ্চ ভাড়া করে মাল পরিবহণ করেন। বিষয়টা আমরা প্রশাসনের নজরেও এনেছি।’ জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ নৌকায় চালের বস্তা বোঝাই করা হচ্ছিল। তখন প্রচণ্ড মেঘ করে। বৃষ্টি আসছে দেখে চালের বস্তা নিয়ে আসা ভ্যানওলারা জোর করে লঞ্চ বস্তা চড়িয়ে দেন।
মাঝিরা নিষেধ করলেও ভ্যান চালকরা তাতে কর্ণপাত করেননি। তখনই চালের বস্তা সমেত লঞ্চ ডুবে যায়। জল থেকে ডুবে যাওয়া বেশ কয়েক বস্তা চাল তোলা হয়েছে। তবে জলে ভিজে যাওয়ায় সেই চালের পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ।আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর ঝামেলা এড়াতে ব্যবসায়ীরাও প্রকাশ্যে আসেননি।
ফেরিঘাটে লঞ্চের যাত্রী মহাদেব দাস, কাশেম শেখরা বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনেই চালের বস্তা বোঝাই লঞ্চ ডুবে যায়। বর্ষাকালে সরকারি ঘাট ছাড়া এই ধরনের পারাপারের উপরেও নজরদারি দরকার।’
কালনার মহকুমাশাসক নীতেশ ঢালি বলেন, ‘ব্যক্তিগত লঞ্চ চাল বোঝাই করার সময় তা ডুবে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সেই চাল উদ্ধারও হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে এমন পারাপারের ক্ষেত্রে সতর্ক করা হবে।’ দেখুন ভিডিওটিঃ
Leave a Reply