কাতার থেকে দেশে আসলো মুন্নার লাশ, শোকে পাথর পুরো পরিবার





মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে চলন্ত মোটরসাইকেলে হার্ট অ্যা’টাকে মা’রা যাওয়া মুহিবুজ্জামান মুন্নাকে (২৯) দাফন করা হয়েছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় উপজেলার





রতুলীবাজার সংলগ্ন মাঠে তার জানাজা শেষে তাকে দা’ফন করা হয়।কাতার প্রবাসী ও মুন্নার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মুহিবুজ্জামান মুন্না প্রায় ৬ বছর ধরে





কাতারে ছিলেন। তিনি সেখানে প্রথমে একটি দোকানে কাজ করতেন। পরে ফুড ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ শুরু করেন। গত বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কাতার সময় রাত





দুইটার দিকে মোটরসাইকেলযোগে খাবার ডেলিভারি দিয়ে ফেরার সময় চল’ন্ত মোটরসাইকেল থেকে তিনি সড়কে ছি’টকে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে সেখান থেকে





উ’দ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে এক কাতার প্রবাসী জানিয়েছেন, চলন্ত মোটরসাইকেলেই মুন্না হার্ট অ্যা’টাক করে ঘটনাস্থলেই





মা’রা যান। নিহত মুন্না বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম গাংকুল গ্রামের মনিরুজ্জামান মনিরের একমাত্র ছেলে। দেশের বাড়িতে নিহত মুন্নার স্ত্রী, এক ছেলে ও বাবা-মা রয়েছেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কাতার থেকে বিমানে মুন্নার লা’শ দেশে আসে। বিকেলে লা’শবাহী গাড়ি মুন্নার ম’রদেহ নিয়ে বাড়িতে পৌছার পর শো’কাবহ এক পরিবেশ তৈরি হয়। একমাত্র ছেলে মুন্নাকে হারিয়ে কান্নায় ভে’ঙে পড়েন তার বাবা-মা। শোকে কা’তর হয়ে পড়েন তার স্ত্রী।
মুন্নার বাবা মনিরুজ্জামান মনির জানান, কাতারের পুলিশ তদ’ন্ত করে দেখেছে যে মোটরসাইকেলে চলন্ত অবস্থায় হা’র্ট অ্যা’টাক করে আমার ছেলে মুন্না মা’রা গেছে। তিনি জানান, আমার তিন ছেলে মেয়ে। এরমধ্যে আগে এক মেয়ে মা’রা গেছে। এখন আমার একমাত্র ছেলে মুন্নাও আমাকে ছেড়ে চলে গেল।