





গ্রমাঞ্চলে এক সময় সাপখেলা ছিল নিত্য দিনের ঘটনা । ছোট বড় সবাই মিলে দেখত সাপ খেলা । অনেক রকম সাপ নিয়ে





সাপুড়ে সাপ খেলা দেখাত । বিশেষ করে কবরা সাপ ফনা তুলে ফুস ফুস শব্দ বাচ্চাদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়।এটা তারা





বেশ উপভোগ করে। এখনও মাঝে মাঝে হাটে বাজারে সাআপ খেলা দেখা যায় । কিন্তু তা খুব কম। এখন মানুষ এই পথে





রজগার করতে চাই না। সে কারনেই হয়ত আর বেশি দেখা যাই না।আবার বেদে মেয়েরাও সাপ খেলা দেখায়।তারা বানর , সাপ খেলা এবং





তাবিজ বেঁচে জীবন নির্বাহ করে। আবার বেদে পরিবার দের এটা ঐতিহ্য বাহী পেশা। এরা সাপ ধরতেও পটু । কোথাও সাপ দেখা গেলে





অনেকে বেদেদের খবর দেয় ।তারা এই সাপ ধরে খেলা দেখায় । গ্রামে সাপ খেলা দেখালে অনেকে চাল ও দেয়।এটায় তাদের রজগারের পথ।আমি যখন ছোট ছিলাম দেখতাম সেই সময় আমাদের পাশের এক গ্রামে সাপ খেলার বিশাল আয়োজন হত। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসত এখানে সাপ খেলা দেখার জন্য। অনেক প্রতিযোগী আসত পরস্কার পাওয়ার আশায়।অনেকে সাপ- খেলা দেখাতে ব্যর্থ হত।
তখন অনেকে বলত মন্ত্র পড়ে তার অক্ষম করা হয়েছে।যাইহোক সেটা সবাই উপভোগ করত।আসলে সাপ খেলা দেখিয়ে মানুষকে আনন্দ দিতো কিন্তু আনন্দ দেওয়ার সাথে সাথে তাহারা কিছু ধান্দা করতো। কিছু তাবিজ ঔষধপত্র বিক্রি করতো আসলে কখনো কাজে আসতো না অশিক্ষিত মানুষদের কে সবসময় এগুলো দিয়ে বোকা বানাতো। আর তারা টাকা রুজি করতো তাদের ব্যবসায় ছিল এগুলো।
এখনও হাটে বাজারে মাঝে মাঝে কিছু মানুষের তাবিজ বিক্রি করতে দেখা যায়। তারা মানুষের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য অনেকে সাপ খেলা দেখায়।এতে মানুষ জড়ো হলে তাদের তাবিজ বিক্রিও বেড়ে যায়। যদিও তাবিজ জিনিসটি শুধুই ধোঁকাবাজি , তারপরও সাধারন ও অশিক্ষিত মানুষেরা তাবিজ ব্যবহার করে থাকে। তাদের বিশ্বাস এতে তাদের সব রোগ ভালো হয়ে যাবে।
আর জিনে আসর করবে না। এটা বেশ অদ্ভুদ শ্রেণীর বিশ্বাস ও বটে।আসলে বাংলাদেশের অনেক ঐতিহ্যই হারিয়ে গেছে। এখন বিভিন্ন ধরণের বিনোদনের জন্য তৈরি হয়েছে মিডিয়া , ডিভাইস । যার মাধ্যমে মানুষ বিনোদন পায় , কিন্তু সেই জীবন্ত বিনোদন এর মাধ্যমে কিন্তু সম্ভব নয়। আমরা দেখতাম পালকিতে বউ নিয়ে যেত এক সময় ।বর ,বউ পালকিতে উঁকি দিয়ে যাইত শ্বশুর বাড়ি ।
তার ভিতর কিন্তু একটা অন্য রকম ঐতিহ্য লুকিয়ে ছিল । কিন্তু সেগুলো আজ হারিয়ে গেছে।আমাদের ছোট বেলায় দেখতাম। এটা গ্রামের মানুষদের জন্য বেশ আনন্দদায়ক একটা বিষয় ছিল। কৃত্রিম জীবন এখন সব কিছুই পাল্টে দিছে। সাপুরেরাও এখন বিভিন্ন ব্যবসা করছে। আর সাপ খেলাটা হয়তো মোবাল, কম্পিউটার বা অন্য কোন ডিভাইসে খেলে নিচ্ছে। সত্যি, দিনগুলো অনেক মিস্ করছি।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Leave a Reply