আস্ত বিশাল এক গাছকে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে নিমিষেই কাঠ করে ফেলছে কাটুরিরা। কাটুরিদের এমন কাজ দেখে তুমুল প্রসংশা নেটিজনদের।

গাছ নানাভাবে মানুষের উপকার করে। ফল, ফুল, কাঠ, অক্সিজেন, ছায়া- এ সবকিছুই আমরা গাছ থেকে পাই। গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা

যাবে না। আর্থিক সুবিধার কথাই ধরা যাক।ইন্ডিয়ান ফরেস্ট ইন্সটিটিউটের গবেষকরা ৫০ বছর বেঁচে থাকা একটি গাছের আর্থিক সুবিধা

বের করেছেন। যা হল, গাছ বায়ুদূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করে ১০ লাখ টাকার, জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন দেয় ৫ লাখ টাকার,

বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে বাঁচায় ৫ লাখ টাকা।মাটির ক্ষয়রোধ ও উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে বাঁচায় ৫ লাখ টাকা, বৃক্ষে বসবাসকারী প্রাণীদের খাদ্য ও

আশ্রয় দিয়ে বাঁচায় ৫ লাখ টাকা, আসবাবপত্র, জ্বালানি কাঠ ও ফল সরবরাহ করে ৫ লাখ টাকার,

বিভিন্ন জীবজন্তুর খাদ্য জোগান দিয়ে বাঁচায় আরও ৪০ হাজার টাকা।৫০ বছর বেঁচে থাকাএকটি বৃক্ষের আর্থিক সুবিধার মোট মূল্য দাঁড়ায় ৩৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যেসব এলাকায় গাছ বেশি, সেখানে বন্যা, ঝড় তেমন ক্ষতি করতে পারে না। গাছপালা মায়ের আঁচলের মতো মানুষকে আগলে রেখে রক্ষা করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে। যদি গাছ লাগিয়ে বাসাবাড়ির ছাদগুলোকে একটুখানি সবুজ করা যায়, তাহলে শহরের তাপমাত্রা কমে আসবে।

ছাদের বাগান বাইরের তাপমাত্রার চেয়ে ঘরের তাপমাত্রা প্রায় ১.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমাতে পারে।এমনটাই পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। একটা সবজির গাছ তিন মাসের জন্য তিনজনের অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে। শহরগুলোতে ফাঁকা জায়গা কম। সেজন্য নতুন বাড়ির অন্তত ২৫ শতাংশ ছাদে বাগান করা উচিত। শুধু পরিবেশগত দিকই নয়, ছাদ বাগানে বাড়ির মালিক, ভাড়াটিয়ারা আর্থিক দিক থেকেও লাভবান হতে পারেন। শখের পাশাপাশি বাণিজ্যিক দিক মাথায় রেখে অনেকেই ছাদে বাগান করে সফলতা পেয়েছেন।

আড়াই কাঠার বাড়ির ছাদে সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বছরে ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।কিন্তু এতো উপকার করার পরেও আমরা গাছ কাটছি।কারন বাংলাদেশে দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে।জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বাসা বাড়ি ও বাড়ছে।

দিনদিন আধুনিক যন্ত্রপাতি ও বেড়ে যাচ্ছে।আগে মানুষ হাত দিয়ে গাছ কাটার জন্য বাড়িতে মানুষ নিয়ে যেত এবং সপ্তাহ খানিক থেকে গাছ থেকে কাঠ বের করত। একটু ঘষা বাড়ি বানানোর জন্য প্রায় 1.2 মাস আগে থেকেই তাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হতো।কিন্তু এখন বর্তমান যুগে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গাছ থেকে কাঠ বের করা সম্ভব হচ্ছে।

গাছ কাটা থাকে কাঠ বের হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সবকিছু এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে হচ্ছে মানুষের কোনো প্রয়োজন হচ্ছে না।গাছ কাটার এমন যন্ত্র রয়েছে যা বিশাল বিশাল গাছ কয়েক মিনিটের ব্যবধানে কাটা হচ্ছে।গাছের জায়গা থেকে অন্যদিকে নেওয়ার জন্য আরেক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। পানিতে ভেজানোর জন্য অন্য যন্ত্রপাতি রয়েছে সেখান থেকে তোলার জন্য ভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি ক্ষেত্রে এর জন্যই প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগে আছে।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*