ক্ষুদে এই মেয়ে গ্রামের স্কুলের সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে হারমনি বাজিয়ে অবাক করে দিলেন হাজারো দর্শক কে। ছোট্ট এই বাচ্চার গান শুনে প্রসংশা নেটিজনদের। তুমুল ভাইরাল ভিডিও

হারমোনিয়াম এক ধরনের বিদেশী বাদ্যযন্ত্র, এর উদ্ভব পাশ্চাত্যে হলেও কালক্রমে যন্ত্রটি প্রাচ্যের যন্ত্রতালিকায়

বিশেষ স্থান করে নেয়। এ বাদ্যযন্ত্রটি ‘ক্যাবিনেট অর্গ্যান’ নামেও পরিচিত।বর্তমান ভারতীয় সঙ্গীতে

ব্যবহৃত এক প্রকার বিদেশী বাদ্যযন্ত্র। সাধারণত এই যন্ত্রটি কণ্ঠসঙ্গীত বা যন্ত্রসঙ্গীতের সাথে সহযোগী যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে

এর একক বাদনও দেখা যায়।ভারতবর্ষের চিরায়ত সঙ্গীতজগতে এই যন্ত্রটি ততটা মর্যাদার আসন না পেলেও, শাস্ত্রীয় কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পীরা সহযোগী যন্ত্র

হিসেবে অনেক সময় হারমোনিয়াম ব্যবহার করে থাকেন। মূলত সঙ্গীত শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক তালিমের সময় এই যন্ত্রটি

ব্যবহার করে থাকেন। প্রচলিত হারমোনিয়াম দেখতে অনেকটা বাক্সের মতো। একটি আবদ্ধ বাক্সের উপরিভাগে কিছু রিড(reed) সাজানো থাকে। বেলো দ্বারা তাড়িত করে এর ভিতরে বাতাস প্রবেশ করিয়ে, এই বাক্সের ভিতরে বাতাসের চাপ সৃষ্টি করা হয়। এই বাতাস রিডের ভিতর দিয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় রিডের শব্দ উৎপাদক পাত কম্পিত হয়ে শব্দ তৈরি করে।

এক্ষেত্রে সবগুলো রিড যাতে এক সাথে বেজে না উঠে, তার জন্য প্রতিটি রিডের উপর এক ধরনের প্রতিবন্ধক রাখা হয়।সুনির্দিষ্ট একটি রিড থেকে শব্দ উৎপাদনের জন্য এই প্রতিবন্ধক উন্মুক্ত করা হয়।এই প্রতিবন্ধকটি একটি লম্বা দণ্ডের এক প্রান্তে যুক্ত থাকে। এর অপর প্রান্তটিতে থাকে আঙুলের চাপ দেওয়ার জায়গা।এর মাঝখানে থাকে একটি আবদ্ধক অংশ।

সবমিলিয়ে আবরক দণ্ডটি ঢেঁকির মতো হয়। এর চাপ দেওয়ার অংশে চাপ দিলে, প্রতিবন্ধক দণ্ডের অপর প্রান্ত উন্মুক্ত হয়। ফলে রিডের ভিতর দিয়ে বাতাস বেড়িয়ে যাওয়ার সময় এর পাত কম্পিত হয়ে ধ্বনির সৃষ্টি করে। এই দণ্ডের উপর একটি সলম্বা স্প্রিং থাকে। প্রতিবন্ধকের উপর থেকে আঙুলের চাপ সরিয়ে নিলে, ওই স্প্রিং বাঁশির উপর প্রতিবন্ধককে দৃঢ়ভাবে চেপে বাতাস প্রবেশকে বাধা দেয়। ফলে ওই বাঁশি থেকে কোনো শব্দ হয় না।হারমোনিয়ামের ইতিহাস:হারমোনিয়ামের আদ্য যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়, পাশ্চাত্য রিগেল (regal) নামক বহনযোগ্য অর্গ্যানকে।এই যন্ত্রটি ১৬০০-১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।

কিন্তু এই যন্ত্রটি ছিল বদ্ধরিড ভিত্তিক যন্ত্র।এরপর থেকে রিডযুক্ত যন্ত্র নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা ইউরোপে চলতে থাকে। ১৭৮০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কোপেনহেগেনের মনোবিজ্ঞানীর অধ্যাপক Christian Gottlieb Kratzenstein প্রথম একটি ‘মুক্ত রিড’ বাদ্যযন্ত্র তৈরি করেন। ১৮১০ খ্রিষ্টাব্দে হারমোনিয়ামের মতো একটি মুক্তরিড যন্ত্র উপস্থাপন করেন Gabriel Joseph Grenié।

তিনি এই যন্ত্রটির নামকরণ করেছিলেন orgue expressif (expressive organ)। ১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দে এই যন্ত্রের উন্নয়ন ঘটান Alexandre Debain। তিনি এর নাম দেন harmonium। এই নতুনযন্ত্রটি ইউরোপ এবং আমেরিকাতে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোষ্টনের Mason & Hamlin এর বেলো অংশের উন্নয়ন ঘটান।

ভারতের একটি স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে খুদে এই মেয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। যেখানে উপস্থিত ছিলো হাজারো দর্শক বিন্দু এবং স্কুলের শিক্ষকরা। সকলের সামনে হারমোনিয়াম বাজানো যেমন সহজ ভাবা হয় আসলে তেমন সহজ নয়। খুদে মেয়েদের প্রথমে একটু ভয় কাজ করলেও পরে সে তার নিজের মতো করে হারমোনিয়াম বাজানো শুরু করে।কতক্ষণ বাজানোর পর দর্শকসহ সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। যে আসলে চেষ্টা করলে সব পারা যায় বয়স কোন ব্যাপার না।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*