আস্ত এক হাওরের পেয়াজ মাত্র ১০ মিনিটেই অত্যাধুনিক মেশিন এর সাহায্যে তুলে ফেলছে। তুমুল ভাইরাল ভিডিও

আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে পরিবর্তন ঘটছে কৃষিতে। উন্নত বিশ্বের হাওয়া লেগেছে বাংলাদেশেও। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায়

বদলে যাচ্ছে কৃষি ব্যবস্থা। বীজতলা থেকে উৎপাদন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে রয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। যে লাঙল-জোয়াল আর হালের বলদ ছিল

কৃষকের চাষাবাদের প্রধান উপকরণ সে জায়গা এখন দখল করে নিয়েছে আধুনিক লাঙল ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার,

কম্বাইন্ড হার্ভেপার, ব্রডকাস্ট সিডার পাওয়ার রিপার মেশিন। এমনকি ফসল ফলানোর জন্য জমি চাষ, বীজ বপন,

নিড়ানি, সার দেয়া, কাটা, মাড়াই, ফসল ঝাড়া ও প্যাকেটিং পর্যন্ত সব কিছুই করা হচ্ছে প্রযুক্তির ছোঁয়ায়। ফলে কৃষিতে উৎপাদন বাড়ছে,

কমছে উৎপাদন ব্যয়। প্রযুক্তির ব্যবহারে ফসলের অপচয়ও কম হচ্ছে। ফলে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক যন্ত্রাংশের ব্যবহারে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। এখন কম জমিতে চাষাবাদ করে অনেক বেশি ফসল পাওয়া যাচ্ছে। আর এসব প্রযুক্তির বড় অংশই দেশে উদ্ভাবিত।বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের মোট আবাদি জমির ৯০-৯২ ভাগ চাষ হচ্ছে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে।

যদি চাষাবাদের সব পর্যায়ে অর্থাৎ জমি তৈরি থেকে শুরু করে চাল উৎপাদন পর্যন্ত পুরোপুরি আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তাহলে রীতিমতো বিপ্লব ঘটবে কৃষিতে।কৃষি যন্ত্রসামগ্রী নির্মাণ দেশের অর্থনীতি এবং কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।এই খাতটি এখনো ভারি শিল্প হিসেবে চিহ্নিত।কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক বা প্রস্তুুত শিল্পকে কৃষিভিত্তিক শিল্পের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি-দ্বিতীয় পর্যায়’ প্রকল্পের আওতায় ৫১ জেলায় কৃষক পর্যায়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদর্শনীর মাধ্যমে সেগুলো জনপ্রিয় করার চেষ্টা হচ্ছে। জমি চাষ থেকে ফসল মাড়াই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হচ্ছে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি। এসব প্রযুক্তি সহজলভ্য ও জনপ্রিয় করতে এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ হারে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।

ইয়ানমার কম্বাইন্ড হারভেস্টারের আমদানিকারক এসিআই মটরস।এই হারভেস্টার মেশিনটি ধান কেটে মাড়াই, ঝাড়াই করে খড় আস্ত রাখে। ফলে ধান উৎপাদন এবং খড়ের চাহিদা রয়েছে এমন দেশগুলোতে এটি ব্যবহৃত হয়। তিনি আরও বলেন, কম্বাইন হারভেস্টারটি ঘণ্টায় এক একর ধান কেটে মাড়াই, ঝাড়াই করে বস্তাবন্দী করে দেয়।

দেশীয় বাজারে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি টাকার কৃষি মেশিনারিজের চাহিদা রয়েছে।তবে কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরি ও রপ্তানিতে প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও, সরকারি সহায়তা নেই। তারপরও দেশে উন্নত মানের কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে। এমনকি চীনের চেয়েও উন্নত মানের মেশিনারিজ তৈরি করছে বাংলাদেশ। কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের মতে, বোরো ধান সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করা ও জমির ভাড়াসহ (বা খাজনা) এক বিঘা জমিতে ধান চাষে খরচ পড়ে প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ টাকা।

এক বিঘা জমিতে গড়ে ফলন হয় ১৮ থেকে ২০মণ ধান।কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ফসল কাটা ও ফসল বপনসহ সিজনের সময় শ্রমের যে মজুরি কৃষককে গুণতে হয় তাতে যন্ত্র ছাড়া কোনো উপায় নেই। কৃষিযন্ত্র ব্যবহারে যেমন অর্থ সাশ্রয় হয়, তেমনি সময় ও শ্রম সাশ্রয় হয়। কৃষিকাজে সবচেয়ে শ্রম ও সময়নির্ভর কাজ হচ্ছে চারা রোপণ বীজ বপন ও ফসল কর্তন।

গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রকৌশলী মো. হাসান সোহেল বলেন, কৃষি ষান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে দানা শস্যের উৎপাদন আরও বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। উন্নত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রযুক্তি প্রয়োগে শস্য উৎপাদনের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রাপ্ত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও ফসল কর্তনোত্তর ক্ষতি কমানোর মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।যান্ত্রিকীকরণের বহুবিধ সুবিধাদির ফলে কৃষক দিন দিন কৃষিযন্ত্রের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*