





টমেটো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খাওয়া সবজি।বাংলাদেশের চিত্র থেকে বিষয়টি পরিষ্কার না হলেও ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলোতে





গেলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।এবং যেহেতু এটি তাজা খাওয়া হয়, গুণমান অক্ষত রেখে এটি কাঁচা সংরক্ষণের কোন উপায় নেই, তাই উন্নত বিশ্বে





এটি সারা বছর চাষ করা হয়। টমেটো প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন কেচাপ, আচার, চিপস, সস ইত্যাদিতেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এবং সারা বছর ধরে





এই চাহিদার কারণে, হাইড্রোপনিক বা অ্যাকোয়াপনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলের বেশিরভাগই টমেটো। আজকের এই ইনফোটিতে





আমরা আলোচনা করবো।হাইড্রোপনিকভাবে জন্মানো টমেটো আকার, আকৃতি এবং রঙে খুবই আকর্ষণীয়। কম সময়ে ও জায়গায়





বেশি ফলন পাওয়া যায়। ফলের গুণগতমান ভালো হওয়ায় দামও ভালো। বাংলাদেশে টমেটোর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।আগেকার মানুষ শুধু সালাদ, ডাল বা তরকারিতে আচার হিসেবে টমেটো খেত। কিন্তু এখন টমেটো বিভিন্ন তরকারি রান্নায় এবং অন্যান্য খাবারের স্বাদ বাড়াতে সস হিসাবে প্রচুর পরিমাণে খাওয়া হয়। এই চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
ফলে বাংলাদেশেও হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে টমেটো চাষ অত্যন্ত লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।টমেটো পুষ্টি গুণে ভরা এক ধরনের সালাদ সবজি। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি-র অন্যতম উৎসও বটে। এছাড়া এতে আছে বেটা কেরোটিন নামক এক প্রকার ভিটামিন যা রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে। আরো আছে আমিষ, শর্করা, খনিজ পদার্থ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
ভেষজ গুণসমৃদ্ধ টমেটোতে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে।দৈনিক একটি করে টমেটো খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৬০ ভাগ কমে যায়।আসুন টমেটো কিভাবে চাষ করে জেনে নেই।টমেটো কিভাবে চাষ করবেন? বাড়িতে মাটি নেই, বা টব রাখার জায়গা নেই? আপনি চাইলে বড়ো প্লাস্টিকের কৌটোতে খুব সহজেই টমেটো চাষ করতে পারেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমে কিছু খালি বড়ো প্লাস্টিকের কৌটো নিন। এর মধ্যে ফুটো করে নিন এবং ওপরটা কেটে নিন।টমেটো স্লাইস করে কেটে নিন।মাটিতে টমেটো স্লাইস রেখে ওপর থেকে মাটি চাপা দিন। অল্প জল দিয়ে ছায়ায় রেখে দিন। ১০ দিনের মধ্যে চারা বেরিয়ে আসবে।ফুটো করা প্লাস্টিকের কৌটোতে মাটি ভরুন। এবার টমেটো চারাকে মাটিতে পুঁতে দিন। ওপর থেকে আরেকটা প্লাস্টিকের ছোট বোতলে করে ফলের টুকরো ভরে দিন।
এটা বড়ো কৌটোর মধ্যে রেখে দিন। এখানে আপনি পরে সার প্রয়োগ করতে পারবেন। যেকোনো খোলা জায়গায় লাগানো হুক বা পেরেকে বড়ো প্লাস্টিকের কৌটো দড়ির সাহায্যে ঝুলিয়ে নিন। নিয়মিত জল দিন।১৫ দিন বয়সের পরে প্রতি সপ্তাহে শুকনো কলার খোসা গুঁড়ো করে দিন। ২০ দিন বয়সে গাছ বড়ো হয়ে যাবে। ঝোলানো দড়ি বেয়ে ওঠা শুরু করে দেবে। এইসময় নিচের দিকের কয়েকটি পাতা কেটে নিন।
৩০দিন বয়সে গাছে ফুল আসতে শুরু করবে। নিচের দিকের পাতা ও ওপরের ডগা ছেঁটে দিন।৪০ দিনে আপনি ছোট ছোট টমেটো দেখতে পাবেন। এই পর্যায়ে আরও কিছু পাতা ছেঁটে দিন।৬০ দিনে আপনার টমেটো গুলি বেশ ভালো বড়ো হয়ে পেকে যাবে। এবার এগুলো পেড়ে নিন। এইভাবে আপনি সহজেই টমেটো চাষ করতে পারেন।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Leave a Reply