গ্রামে খর ও বাঁশ দিয়ে হেলিকপ্টার বানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন দুই যুবক। গ্রামের বাচ্ছাদের মুখে হাসি দেখে দুই যুবক প্রশংসায় ভাসাচ্ছে নেটিজেনরা। ভাইরাল ভিডিও।

আবিষ্কার বলতে ব্যক্তি বা দলীয়ভাবে কোন নতুন ধরনের জিনিস, যন্ত্র বা বিষয় তৈরী, প্রযুক্তি উদ্ভাবন,

প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদিকে বুঝায়। আধুনিককালের কম্পিউটারও একটি আবিষ্কার ছিল যখন তা

প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল। হেলিকপ্টার বাতাসের চেয়ে ভারী অথচ উড্ডয়নক্ষম এমন একটি আকাশযান যার উর্দ্ধগতি সৃষ্টি হয় এক বা

একাধিক আনুভূমিক পাখার ঘুর্ণনের সাহায্যে, উড়োজাহাজের মত ডানার সম্মুখগতির সাহায্যে জন্য নয় । এই পাখাগুলো

দুই বা ততোধিক ব্লেডের সমন্বয়ে গঠিত যারা একটি মাস্তুল বা শক্ত দন্ডকে কেন্দ্র করে ঘোরে। আবিষ্কার হচ্ছে দিন দিন নতুন কোনো কিছু বের করা বা

নতুন কিছু উদ্ভাবন করা। তেমনি একটি ভিডিও নিয়ে আজকে আমরা কথা বলবো। যা ইতিমধ্যে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। একটি গ্রামের দুই যুবক তারা অনেকদিন যাবত চিন্তা করতে লাগল নতুন কোনো কিছু আবিষ্কার করবে। কিন্তু তাদের মাথায় কিছুতেই বুদ্ধি আসতেছিল না।কি আবিষ্কার করবে। হঠাৎ একদিন তার আরেক বন্ধু তাকে বুদ্ধি দিলো যে আমরা হেলিকপ্টার আবিষ্কার করতে পারি। প্রথমে তার বন্ধুটি রাজি হতে চাইল না। সে বলল একটা অনেক কঠিন বিষয়। আমাদের দাঁড়ায় আবিষ্কার সম্ভব নয়।

এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর দুই বন্ধু রাজি হলো যে তারা একটি হেলিকপ্টার তৈরি করবে তাও নাকি আবার বাসাবো খড়কুটা দিয়ে। হেলিকপ্টারের জন্য যাবতীয় জিনিসপত্র তৈরি করতে শুরু করল। প্রথমে তারা বন থেকে বাঁশ কেটে হেলিকপ্টারের মাপ অনুযায়ী কেটে নিল। হেলিকপ্টারটি কোথায় বানাবে সে জায়গাটা ও নির্ধারণ করে নিল।

নির্ধারণ করার পর। বাঁশ কাটার জন্য মাটি ঘুরতে শুরু করলো। গর্ত করার পর গর্তের ভিতর বাসের টুকরোগুলো দিয়ে দিল। তার ওপর সুন্দর একটি মাচা পাতলো। মাচা গুলো বাধা হয়েছিল লোহা দিয়ে। এভাবে দুই বন্ধু প্রচুর পরিশ্রম করতে লাগল কারণ তাদের একটাই লক্ষ্য বাস ওখড়কুটা দিয়ে হেলিকপ্টার তৈরি করতে হবে।

কারণ মানুষের লক্ষ থাকলে কাজ করতে আনন্দ পায় এবং অতি তাড়াতাড়ি তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। এভাবে কয়েক দিন কাজ করার পর হেলিকপ্টার ভিতর বাসের সিটে বসিয়ে দিল। সিট গুলো দেখে গ্রামের বাচ্চারা হেলিকপ্টার ভিতরে বসে আনন্দে মেতে উঠল। এক পর্যায়ে তাদের বাঁশ দিয়ে হেলিকপ্টার তৈরি করা শেষ। এখন তাদের কাজ হচ্ছে এটাকে ছাউনি দেওয়া। ছাওনি কি দিয়ে দিবে সে নিয়ে অনেক ভাবতে হয় এ তিন বন্ধুকে। বাবার পর তাদের মাথায় বুদ্ধি চলে আসলো ধানের খড় কুটা দিয়ে ছাউনি দেওয়া যায়।

এবং তারা সেখান থেকে ছাউনি নেওয়ার জন্য খরকোটা সংগ্রহ করতে শুরু করল। খড়কুটা সংগ্রহ করে এগুলো সুন্দর করে লাগিয়ে দিলো এবং ডান পাশে এবং বাম পাশে হেলিকপ্টারের জানালা কেটে দিল এবং হেলিকপ্টার ভিতরেও উঠে বসার জন্য সিঁড়ি তৈরি করে দিল।

একপর্যায়ে এভাবে তাদের পরিশ্রমের ফলে তারা তাদের পরিশ্রমের ফল পেয়ে গেল তৈরি হয়ে গেল সুন্দর একটি হেলিকপ্টার।আসলে বন্ধুরা এরকম আবিষ্কার সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। কারণ এরকম আবিষ্কারের চিন্তাভাবনা সকলে মধ্যে থাকে না। তাই বলতে হচ্ছে এই দুইটি যুবকের সৃজনশীলতা আবিষ্কারের চিন্তাভাবনা অনেক বেশি।আর আপনারা এই ভিডিও টি সম্পূর্ণ দেখতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*