মাত্র ১০ মিনিটেই পুরো হাওেরর ফসল তুলে ফেলছেে এই আধুনিক মেশিনটি। যা আপনি আগে দেখেননি কখনো। তুমুল ভাইরাল ভিডিও

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, যখন হালের বলদ, লাঙল-জোয়ালই ছিল কৃষকের মূল ভরসা। সারাদিন কায়িক শ্রমের বিনিময়ে

মাঠে ফলতো সপ্নের ফসল। আধুনিক প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় সেদিন আর নেই। নতুন নতুন যন্ত্রপাতির ব্যবহারে

দেশের কৃষিখাতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এসব যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে কৃষকের কমেছে শ্রম ও খরচ,

অপরদিকে কয়েকগুণ বেড়েছে উৎপাদন।অতীতে যখন লাঙল-জোয়াল আর ‘হালের বলদ’ ছিল কৃষকের চাষাবাদের মূল উপকরণ সে জায়গা এখন

দখল করে নিয়েছে পাওয়ার টিলার। এখন সনাতন যন্ত্রাপাতি হিসেবে লাঙল-জোয়ালকে প্রদর্শন করা হয় উন্নয়ন মেলায়। ধারণা করা হচ্ছে

নতুন প্রজন্ম সচরাচর এসব যন্ত্রপাতি আর দেখেবে না দেখতে হলে যেতে হবে যাদুঘর কিংবা কোন প্রদর্শনী স্টলে।রাইস ট্রান্সপ্লান্টার:ধানের চারা রোপন যন্ত্র- শ্রমিক সংকটে অপরিহার্য ধানের চারা রোপন যন্ত্র, শ্রমিকের সংকট যেভাবে বাড়ছে সেক্ষেত্রে ধান চাষ করতে হলে ধানের চারা লাগানোর অদ্ভুত এই যন্ত্র অচিরেই আবশ্যক হয়ে পড়বে।

ইনক্লাইন্ড প্লেট সিডার:ফসলের জমির সারিতে এ যন্ত্রটির সাহায্যে বীজ বুনলে কম বীজ লাগে, সহজে আগাছা পরিস্কার করা যায়, গাছ বেশি আলো বাতাস পায় এবং সর্বোপরি উৎপাদন বাড়ে। সারিতে ও নির্দিষ্ট দূরত্বে এবং গভীরতায় সহজে বীজ বোনার জন্য পাওয়ার টিলার চালিত বীজ বপন যন্ত্রটি উদ্ভাবন করা হয়। রিপার:রিপার-ধান কাটা যন্ত্র- পৃথিবীর সবচেয়ে সাশ্রয়ী, সহজ ও কার্যকরি মেশিন-Reaper. Reaper, এত কমদাম এবং সহজে আর কোন মেশিনে ধান কাটা যায় বলে মনে হয় না।

এই মেশিন চালানোর জন্য কোন বিশেষ পারদর্শিতার প্রয়োজন নেই বেড প্লান্টার:বেড পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনে নালায় পানি সেচ দিলে সহজেই অল্প সময়ে অনেক জমিতে সেচ দেওয়া যায়। এতে পানির পরিমাণ প্রচলিত পরিমানের চেয়ে কম লাগে। এ পদ্ধতিতে যেমন শুকনো বা রবি মৌসুমে পানি কম লাগে তেমনি বর্ষার সময় অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে নালা দিয়ে সহজেই পানি বের হয়ে যায়কম্বাইন্ড হারভেস্টার:

অনেকটা ট্রাক্টরের মত দেখতে এ যন্ত্র দিয়ে একই সাথে ধান কাটা, মাড়াই ও বস্তায় ভরা যায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ ৬০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ কমানো যায়। যন্ত্রটি ব্যবহার করলে সময় বাঁচায় ৭০-৮২ শতাংশ এবং ৭৫ শতাংশ কম শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। প্রচলিত পদ্ধতিতে এক একর জমির ধান বা গম কাটতে খরচ হয় প্রায় ছয় হাজার টাকা।

সেখানে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ব্যবহারে লাগে মাত্র ৪০০ টাকা। এটি অল্প কাদার মধ্যেও ব্যবহার করা যায়। একই সঙ্গে এ যন্ত্র দিয়ে ফসল কাটার পর খড়ও আস্ত থাকে। এটি ছোট জমির ধান কাটতে বেশ কার্যকর।ঘণ্টায় মেশিনটি তিন থেকে চার বিঘা জমির ধান কাটতে পারে। জ্বালানি খরচ হয় ঘণ্টায় চার লিটার। দাম হবে ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা, আমদানি করা যন্ত্রের দাম ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*