বাড়ির আঙিনাতে পেপে চাষ করে কোটিপতি যুবক। পেপের জন্য দেখা যাচ্ছে না গাছ। রইল বিদেশি এই পেপে চাষ করার স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতিত

পেঁপে বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান ফল।পেঁপে আমরা অনেক ভাবে খেয়ে থাকি। কাঁচা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। তার মধ্যে

অনেক পুষ্টি থাকে যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।তাই দিন দিন বাংলাদেশ পেঁপে চাষের চাহিদা

বেড়েই যাচ্ছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় কৃষি উদ্যোক্তা চাহিদা বাড়ছে কিভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁপে চাষ করা যায়। পেঁপের পুষ্টিমানঃ

পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি ও আয়রন বিদ্যমান। প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য পাকা পেঁপেতে

৮৮.৪ ভাগ জলীয় অংশ, ০.৭ গ্রাম খনিজ, ০.৮গ্রাম আঁশ, ১.৯ গ্রাম আমিষ, ০.২ গ্রাম চর্বি, ৮.৩ গ্রাম শর্করা, ৩১.০ মি.গ্রা.লৌহ,

০.০৮ মি.গ্রা. ভিটামিন বি-১, ০.০৩ মি.গ্রা. বি-২, ৫৭.০ মি.গ্রা. ভিটামিন সি, ৮১০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন ও ৪২ কিলোক্যালরী খাদ্য শক্তি রয়েছে। পেঁপের ঔষধিগুনঃঅজীর্ণ, কৃমি সংক্রমণ, আলসার, ত্বকে ঘা, একজিমা, কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা ডিপথেরিয়া, আন্ত্রিক ও পাকস্থলীর ক্যানসার প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে কাঁচা পেঁপের পেপেইন ব্যবহার করা হয়।

পেঁপের জাতঃপেঁপে বিভিন্ন জাতের হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো কয়েকটি জাত হলোঃ ১.ব্লুস্টেম,২.কাশিমপুরী, ৩.যশোরি,৪.রাচি,৫.নউন ইউ প্রভৃতি। পেঁপের চাষের জন্য জমি নির্বাচন ও তৈরীঃপেঁপে গাছ মোটর জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না আমরা পেঁপে চাষ করলে তার জন্য এমন জমি নির্বাচন করতে হবে যে জমিতে কখনো পানি জমে না 12 মাস শুষ্ক থাকে।

পেঁপের চারা তৈরীঃপেঁপের চারা বীজতলা ও পলিথিন ব্যাগে তৈরী করা যায়। বীজতলায় চারা তৈরীর ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ সে.মি. সারি করে প্রতি সারিতে ৩ থেকে ৪ সে.মি. গভীরে বীজ বপন করতে হবে। পেঁপের বীজ ও চারার পরিমাণঃপেঁপের জন্য ২x২ মি. দূরত্বে গর্ত তৈরী করে প্রতি গর্তে ৩টি করে চারা রোপণ করা হলে হেক্টর প্রতি ৭৫০০ চারা লাগবে এবং শেষাবধি ২৫০০ গাছ থাকবে।

পেঁপের বীজ বপন ও চারা রোপণের সময়ঃআশ্বিন এবং পৌষ মাস হল পেঁপের বীজ বপনের উত্তম সময় এবং বীজ বপনের ৪০ থেকে ৫০ দিন পর অর্থাত মাঘ-ফাল্গুণ মাসে চারা রোপণের উপযোগী হয় প্রতিকারঃআক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। রোগ বিস্তারকারী জাব পোকা ও সাদামাছি দমনের মাধ্যমে এই রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব।

পেঁপের ফল সংগ্রহঃসবজি হিসেবে ব্যবহারের জন্য ফলের কষ যখন হালকা হয়ে আসে এবং জলীয়ভাব ধারণ করে তখন পেঁপে সংগ্রহ করতে হবে। অন্যদিকে ফলের গায়ে যখন হালকা হলুদ রং দেখা দেবে তখন ফল হিসেবে সংগ্রহ করতে হবে।ফলনঃউপযুক্ত যত্ন নিলে পেঁপে চাষে হেক্টর প্রতি ৪০ থেকে ৬০ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*