





কই মাছ প্রচন্ড সুস্বাদু ও রোগ প্রতিরোধি মাছ। বাজারে কই মাছের দামও সবসময় বেশি থাকে। দেশীয় প্রজাতির মাছের মধ্যে





কই অন্যতম। এই মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি অত্যান্ত পুষ্টি গুণেও অতুলণীয়। খাল-বিলে এই মাছ প্রচুর পাওয়া যায়। আমাদের দেশের খাল-বিল





কমে যাওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে এখন এই মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না। মাছের কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি আবিষ্কারের ফলে





এখন বড় পরিসরে আবাদের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।কই মাছ অত্যান্ত সুস্বাদু একটি দেশি জাতের মাছ। এই মাছের তরকাড়ি বাঙ্গালীদের কাছে





অমৃতের মত। মাছের যে কতটা স্বাদ হতে পারে তা দেশি কই মাছের তরকারি না খেলে বোঝার উপায় নেই। পুষ্টির দিক থেকেও এই মাছ সেরা। এই মাছে





পর্যাপ্ত ফ্যাট, আয়রণ, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস পাওয়া যায়। মাছে ভাতে বাঙালিরা মাছ খেতে যেমন ভালোবাসে ঠিক তেমনি মাছ ধরতেও ভালোবাসে। বাঙালি হয়ে মাছ ধরতে জানেনা এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাবে। আমাদের পূর্বপুরুষরা সকলে দুটি কাজ অবশ্যই জানতে হত এর মধ্যে একটি কৃষি আরেকটি হচ্ছে মাছ ধরা। এ দুটি কাজের অভিজ্ঞতা প্রায় সকলের মাঝেই থাকতো। কিন্তু আস্তে আস্তে তা এখন কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে।
প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে মানুষ এখন আর এই কাজের দিকে ঝুঁকছে না।তবে এখনো গ্রামের লোকজন এই কাজগুলো আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে। মাছধরা টা শুধুমাত্র শখের একটা কাজ নয়। পেশা হিসেবে মাছ ধরার কাজটি নির্বাচন করে। তবে শখ এবং পেশা হিসেবে মাছ ধরার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।আগের দিনে বাণিজ্যিকভাবে মাছের চাষ খুব কম হয়ে থাকতো।
তবে বাণিজ্যিকভাবে মাছ বিক্রির জন্য হাওর বাওর খাল-বিল নদী-নালা ইত্যাদি থেকে মাছ ধরার জন্য নির্বাচন করতো ।এগুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে।মানুষ দিন দিন শহরমুখী হওয়ার কারণে গ্রামের ঐতিহ্য গুলো দিন দিন ভুলে যাচ্ছে। এখনকার মানুষ আর পূর্বের মত মাছ ধরার সরঞ্জাম ব্যবহার করে না। প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে সরঞ্জাম গুলো বদলে গেছে।
মাছ ধরা যে কত আনন্দের যারা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মাছ ধরেছে তারাই জানে। বিশেষ করে এখনো যারা গ্রামে বসবাস করি এবং যাদের বাড়ি হাওর বাওর নদী নালা খাল বিলের পাশাপাশি তারাই মাছ ধরার প্রকৃত আনন্দ উপভোগ করতে পারি।বর্তমানে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ শখের বসেই ধরে থাকে। তবে আমরা যারা শৈশব কাটিয়েছি গ্রামে তারা অবশ্যই ছোটবেলার মাছ ধরাটাকে মিস করে থাকি।
অসংখ্য মাছ ধরার পদ্ধতি রয়েছে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিভিন্ন রকম সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাল, বরশি, কুচ, ও বিভিন্ন প্রকার ফাঁদ।যেগুলো দিয়ে মানুষকে সচরাচর মাছ ধরতে দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার সরঞ্জাম রয়েছে । এগুলো দিয়ে সচরাচর মাছ ধরতে দেখা যায়না।তবে দিন দিন আরো নতুন নতুন সরঞ্জাম আবিষ্কার হচ্ছে যেগুলো দিয়ে মাছ ধরার অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে।
আজকের এই ভিডিওতে একটি ভিন্ন রকমের মাছ ধরার চিত্র ধারণ করা হয়েছে। যা ইন্টারনেটে আপলোড হওয়ার সাথে সাথে প্রচুর পরিমাণে ভাইরাল হয়।তবে এই পদ্ধতিতে সচরাচর মাছ ধরা হয় না। শুধুমাত্র যে পানি গুলোতে শিং কৈ মাগুর ইত্যাদি রকম দেশীয় মাছ পাওয়া যায় ওই স্থানগুলোতে এ পদ্ধতিতে মাছ ধরা যায়।ভিডিওটিতে কিছু ছোট ছোট ছেলেরা একটি মরা খেজুর গাছের টুকরো একটি ডোবার পাশে ফেলে রাখে।
মরা খেজুর গাছ পচে যাওয়ার কারণে এর ভিতর দিয়ে গর্ত তৈরি হয়। আমরা সকলেই জানি যে মাছ আবাসস্থল হিসেবে বিভিন্ন গর্ত নির্বাচন করে। আর ওই খেজুর গাছের টুকরোটি অনেকদিন পানিতে পড়ে থাকায় এর গর্তগুলোতে শিং কৈ মাগুর মাছের মতো দেশগুলো বাসা তৈরি করে নেয়। খেজুর গাছের টুকরোটি ফেলে রাখার কিছুদিন পর টেনে এটিকে উপরে উঠানো হয়।
এবং টেনে উপরে উঠানোর সাথে সাথে এর ভেতর থেকে মাছগুলো বেরিয়ে আসতে থাকে। তারপর গাছটি কেটে এর মধ্য থেকে আরো অনেকগুলো মাছ বের করা হয়। এ ধরনের দেশীয় টাটকা মাছ বর্তমানে সচরাচর পাওয়া যায় না। মাছের আবাসস্থল তৈরীর মাধ্যমে অন্যান্য বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করলেও এরকম সরঞ্জাম খুব কমই ব্যবহার করা হয়।খেজুর গাছের টুকরো দিয়ে কিভাবে এই দেশীয় মাছগুলো ধরল তা দেখতে না টেনে পুরো ভিডিওটি দেখুন।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Leave a Reply