ছেলের গোয়ালঘরে থাকা সেই বৃদ্ধাকে নতুন ঘর বানিয়ে দিলো র্যাব





বাবা-মা সন্তানের জন্য সেরা আশীর্বাদ। কেননা সন্তানকে জন্মের পর থেকেই বাবা-মা তাদের বেড়ে ওঠতে সার্বিক দেখা-শুনা করে থাকেন। সন্তানদের উন্নত জীবনের জন্য এবং





তাদেরকে সুস্থ, সুন্দর ও ভালো রাখতেই চলে বাবা-মার যত সংগ্রাম। দুর্ভাগ্যবশত সন্তানরা বাবা-মার সহযোগিতার ক্ষেত্রে পুরোপুরি বিপরীতে অবস্থান করে।কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণি ইউনিয়নের সুরিরডারা গ্রামে ছোট ছেলের গোয়ালঘরে মায়ের বসবাস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর





ওই বৃদ্ধার পাশে দাঁড়িয়েছে র্যাব-১৩ রংপুর। বাহিনীটির পক্ষ থেকে মহেছেনাকে নতুন একটি ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে





শীতবস্ত্র পেয়েছেন মহেছেনা। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ঘরের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লে. মাহমুদ বশির আহমেদ।
মহেছেনার বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণি ইউনিয়নের সুরিরডারা গ্রামে। ওই গ্রামের ইমান আলীর স্ত্রী তিনি। তবে স্বামী ছেড়ে চলে যাওয়ায় অসহায় জীবনযাপন করছেন এই বৃদ্ধা। থাকার ঘর না থাকায় এই শীতে ছোট ছেলের গোয়ালঘরে নাতিসহ (বড় ছেলের সন্তান) বসবাস করতেন। এ নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, ‘ছেলের গোয়ালঘরে বৃদ্ধা মায়ের বসবাস’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা আমাদের অধিনায়ক কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেদৌসের নজরে আসে। পরে তিনি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে ভুক্তভোগীর বাড়িতে লোক পাঠান। সবকিছু জানার পর বাহিনীর পক্ষ থেকে ওই নারীকে নতুন একটি ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়। আশা করছি তার কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।