অভিনব পদ্ধতিতে কলা ও আম গাছের পাতা দিয়ে আমের চারা তৈরি করে নেটদুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে যুবক। রইল স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি!

আম একটি সুস্বাদু ফল। আমকে বলা হয় ফলের রাজা। আম পছন্দ করে না এমন কেউ নেই। গ্রীষ্মকালীন এই ফলটির চাহিদা

বাজারে ব্যাপক। কাচা অবস্থায় এর রং সবুজ এবং পাকা অবস্থায় হলুদ রং হয়ে থাকে। আজ আমরা আপনাদের সাথে

আম চাষের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। এতে করে আপনারা সহজেই আম চাষের বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন দেখে নিন আম চাষের বিস্তারিতঃ

আমরা যদি ভিডিওটির মতো পাতা থেকে গাছ উৎপাদন করতে চেষ্টা করি তাহলে গাছ থেকে

কয়েকটি কাঁচা পাতা নিতে হবে। নিয়ে কয়েকটি কলার মধ্যে আদা টুকরো করে কেটে ভালুর মাথাটা প্রায় 70 ভিতর দিয়ে রাখতে হবে

জলবায়ু ও মাটিঃ আম গাছ প্রায় সব ধরনের মাটিতেই জন্মে। তবে মাটি গভীর হতে হবে। সাধারনত ২-৬ মিটার গভীরতা যুক্ত মাটিতে আম চাষ করা ভালো। মাটি কিছুটা অম্লীয় হতে হবে।                                                                                                                                                                                       স্থান নির্বাচনঃ জমি উচু ও সুনিষ্কাশিত হতে হবে। জমিতে যেন জল জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

জমি তৈরিঃ জমি ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে। জমি সমতল হতে হবে। আগাছা মুক্ত করে নিতে হবে। জমিতে যদি পুরনো গাছের গোড়া, ইট, পাথর বা অন্য কোন জঞ্জাল থাকে তাহলে সরিয়ে ফেলতে হবে। জমি খুব ভালোভাবে চাষ করে নিতে হবে তাহলে গাছের শিকড় বৃদ্ধিতে তা সাহায্য করে এবং গাছ মাটি থেকে সহজেই পুষ্টি শোষন করতে পারে।

রোপন প্রণালীঃ চারা রোপন করার জন্য জমি সমতল করতে হবে। এই সমতল জমিতে বর্গাকার পদ্ধতিতে, আয়তাকার পদ্ধতিতে চাষ করতে হবে। যদি পাহাড়ি জমিতে চাষ করা হয় তাহলে কন্টুর পদ্ধতিতে চাষ করতে হবে। চারা রোপন করার জন্য সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত চারা বাছাই করতে হবে।

রোপনের সময়ঃ চারা রোপনের উপযুক্ত সময় হলো জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে আষাঢ় মাসে এবং ভাদ্র মাস থেকে আশ্বিন মাসে। তবে জল সেচ দেয়ার সুবিধা থাকলে বছরের যে কোন সময় চারা রোপন করা যায়। শীতকালে চারা রোপন না করাই ভালো।

রোপন দূরত্বঃ গাছ সাধারনত ১২ মিটার দূরত্বে লাগানো উচিত। তবে ১০ মিটার দূরত্বে ও লাগানো যায়। গাছ যদি একটু খাটো প্রকৃতির হয় তাহলে ৬-৮ মিটার দূরত্বে ও লাগানো যায়। জাত ভেদে বিভিন্ন গাছের রোপন দূরত্ব বিভিন্ন হয়ে থাকে।

গর্ত তৈরিঃ চারা রোপন করার আগে গর্ত তৈরি করে নিতে হবে। গর্ত তৈরি করার জন্য চারার জাত, জমির আকৃতি এসব খেয়াল করতে হবে।গর্ত সাধারনত ৭৫×৭৫×৭৫ সেমি করতে হবে। গর্ত করার ১০-১৫ দিন পর এতে সার প্রয়োগ করতে হবে।উপযুক্ত পরিচর্যা ও সঠিক উপায়ে চাষ করতে পারলে জাত ভেদে একর প্রতি ২০০-২২০ মন আম পাওয়া যেতে পারে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*