জেলেদের জালে ধরা পড়ল ৯০ কেজি ওজনের বড় চিতল মাছ, রাতারাতি ভাগ্য বদলে গেল যুবকের! তুমল ভাইরাল ভিডিও

পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই কমবেশি মাছ চাষ করা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের খাদ্য তালিকার

অন্যতম একটি প্রধান বিষয়বস্তু হলো মাছ। মানুষেরা প্রায় সূচনা লগ্ন থেকেই মাছ শিকার করে আহার করে আসছে। প্রায় সকল দেশের নদী সমুদ্র পুকুর

এসব স্থানে প্রচুর পরিমাণ মাছ পাওয়া যায়। অনেকেই আবার বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করে অনেক লাভবান হন। মাছ চাষের ফলে

অনেক সময় দেশের ঘাটতি মিটিয়েও অতিরিক্ত মাছ বিদেশে রপ্তানি করা যায়। আর মাছ এমন একটি খাবার যা প্রায় সকলেই

খেতে পছন্দ করে। মাছ দিয়ে যে কতো বেশি পরিমাণ রেসিপি হয় সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিভিন্ন দেশের মাছের রেসিপি গুলো

জিভে জল এনে দেয় সহজেই। কিন্তু একবার ভাবুন যারা মাছ চাষ করে তাদের কি অবস্থা? অনেকই পেশা হিসেবে মাছ চাষ বেছে নিলেও অনেকই আবার শখের বসে মাছ চাষ করেন।বছর বছর প্রযুক্তি উন্নতির সাথে সাথে বর্তমানে বিভিন্ন কিছু আমরা সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি। সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জানার পরিধি কে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে।

যার ফলে সহজেই আমরা আমাদের চাহিদামত বিষয়াদি সম্পর্কে জ্ঞান নিতে পারি। এমনই একটি জানার ও বোঝার বিষয় হলো মাছ চাষ। মাছ চাষ সহজ মনে হলেও এর জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম এর দরকার হয়।মাছ অতি সহজ লভ্য ও পুষ্টির এমন একটি ভান্ডার । যার দ্বারা একজন মানব শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা যায়। মাছের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যা বেড়ে উঠতে অনেক সাহায্য করে।

অনেকের কাছে মাছ শিকার করা একটি নেশার মতো। মাছ শিকার করা যেমন মজার তেমনি এর মাধ্যমে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা সহ রোজগার ও করা যায়। মাছ ধরা এক ধরনের প্রতিভা।সকলেই মাছ শিকার করতে পারে না। সময়ের ব্যবধানে ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছ শিকার সহজ হলেও। গ্রামীণ ও প্রাচীন পদ্ধতি গুলো মাছ শিকার করার কিছু সহজ মাধ্যম।

গ্রাম্য পদ্ধতিতে মাছ শিকার করতে এক ধরনের ধৈর্যের পরীক্ষা হয়। অঞ্চলভেদে বিভিন্ন জায়গায় মাছ শিকার করার একক পদ্ধতি বিদ্যমান। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে আমরা বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন মাছ ধরা ও তাদের ঐতিহ্য সহকারে মাছ ধরা দেখতে পারি। এই সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের অন্যদের প্রাচীন পন্থা ও তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।

আজকের ভিডিওতে একটি ভিন্ন পদ্ধতিতে মাছ ধরার চিত্র ধারণ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যায় কয়েকজন লোক একটি নৌকায় বিশাল আকৃতির একটি জাল নিয়ে একটি নদীতে যায়। এবং যারা নদী থেকে বিভিন্ন রকম দেশীয় মাছ ধরে। এই পদ্ধতিতে মাছ ধরলে প্রথমত একটি নৌকার প্রয়োজন। এবং একাধিক জনবলের প্রয়োজন।

কেননা এই বিশাল আকৃতির জালটি দিয়ে মাছ ধরতে হলে একার পক্ষে সম্ভব না। আমরা অনেকে হয়তো এই বিশাল আকৃতির জালের মত ছোট আকারের জাল দিয়ে বিভিন্ন খাল-বিল কিংবা ডোবার মধ্যে মাছ শিকার করতে দেখেছি।বিশেষ করে যারা গ্রামে বসবাস করে তারা হয়তো বা ছোটবেলায় এরকম ছোট আকৃতির বিভিন্ন মাছ ধরে থাকে।

কিন্তু এই ছোট আকৃতির জাল দিয়ে বড় মাছ ধরা সম্ভব নয়। এবং এই জাল দিয়ে নদীতে মাছ ধরা সম্ভব নয়। তাই নদীর বড় বড় মাছ ধরার জন্য এজালটিকে বড় আকৃতিতে ধারণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে নদী থেকে বড় বড় মাছ ধরা সম্ভব। এই জাল দিয়ে ছোটখাটো ডুবা কিংবা ছোট নালায় মাছ ধরা সম্ভব নয়। নদীতে যে স্থানগুলোতেমাছের অভয়াশ্রম অর্থাৎ নদীতে যে স্থানগুলোতে কচুরিপানা কিংবা বিভিন্ন উদ্ভিদ থাকে সে স্থানগুলোতে মাছ লুকিয়ে থাকে।

জেলে প্রথমে জালটি একটি নৌকার মধ্যে ভালো করে বেঁধে নিয়ে তিন থেকে চারজন লোক নদীতে চলে যায়। এবং সেখান গিয়ে যেখানে মাছ আছে সে স্থানটি নির্বাচন করে। এবং এরপরে জাল টির সামনের দিক পানির মধ্যে নামিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এবং কচুরিপানার নিচের মাছ গুলো জালের মধ্যে আটকে যায় ।এবং পরে জাল টি বেঁধে রাখা বাশটির মধ্যে টেনে জালটি উপরে আনে। এবং মাছ তখন সম্পূর্ণরূপে জালে আটকে পরে। এভাবেই এ পদ্ধতিতে মাছ ধরা হয়।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*