এক জোড়া হরিণের দাম ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, হরিণের খামার করে কম সময়ে হওয়া যায় লাভবান, রইল হরিণ পালনের নিয়ম কানুন।

মানুষ তার জন্মলগ্ন থেকেই বিভিন্ন প্রাণীকে পোষ মানিয়ে এসেছে। এবং আস্তে আস্তে তাদের খামার তৈরি করে আসছে। কিন্তু

একসময় তা কিছুসংখ্যক প্রাণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে খামার পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রাণী পালনের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন বন্য প্রাণীকেও

বিভিন্ন কৌশল দ্বারা মানুষ পোষ মানিয়ে নিয়েছে এবং পারিবারিক এবং বাণিজ্যিক খামারে তাদের পালন করার চেষ্টা করে আসছে। বর্তমানে বিভিন্ন হিংস্র এবং

বিভিন্ন দুর্লভ প্রাণী কে মানুষখামারে পালন করার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে হরিণ পালন। একটি বন্য প্রাণী হলেও বর্তমানে এটিকে মানুষ পোষ মানাতে সফল হয়েছে। এবং

হরিণকে বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন বাণিজ্যিক এবং পারিবারিক খামারে পালন করছে। বর্তমানে অনেক মানুষ হরিণ পালন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। হরিণ পালনে

অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব । ইতোপূর্বে বিভিন্ন দেশে হরিণের খামার গড়ে উঠলেও বর্তমানে আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে হরিণের খামার লক্ষ করা যায়। তবে

চাইলেই হরিণ পালন করা সম্ভব নয়।হরিণ বন্যপ্রাণী হওয়ায় এটি পালনে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। এর জন্য প্রয়োজন সরকারিভাবে অনুমতি। আমাদের দেশে বন বিভাগের কাছ থেকে হরিণ পালনের জন্য অনুমতি গ্রহণ করতে হয়। তবে

বনবিভাগ সবাইকেই এই অনুমতি দিতে পারেনা। হরিণ পালনের জন্য তাকেই অনুমতি দেওয়া হয় যে কিনা হরিণ পালন সম্পর্কে অবগত এবং অভিজ্ঞ। যদিও

হরিণ পালন কিছুটা ছাগল পালনের মতই কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাগলের চেয়ে হরিণকে অধিক যত্ন নিতে হয়। এবং হরিণের জন্য থাকার স্থানটি তুলনামূলক অনেক বেশি লাগে।

কেননা হরিণ যদিও বিভিন্ন খাবারের পালন করা হয় কিন্তু এদের মুক্তভাবে পালন করা সম্ভব নয়। হরিণ খুব দুর্লভ হাওয়ায় এর দাম অনেক বেশি। এবং তা টাকা হলেই সচরাচর কিনতে পাওয়া যায় না। তা খুব সহজে না পাওয়ার কারণে মানুষ খুব যত্নসহকারে হরিণ পালন করে। তাই এদের মুক্তভাবে পালন করা হয় না। যেহেতু এদের মুক্তভাবে পালন করা হয় না সেহেতু এদের পুরো সময়টাই খামারের অভ্যন্তরেই কাটে। পুরোটা সময় খামারের অভ্যন্তরে কাটার ফলে তারা যেন একটু নড়াচড়া করে বসবাস করতে পারে সেজন্য তাদের থাকার স্থানটি মোটামুটি অনেক বড় প্রয়োজন হয়।

সরকারি বিধি নিষেধ গুলোর মধ্যে আরেকটি বিধি-নিষেধ হচ্ছে আপনি চাইলেই ইচ্ছেমতো পরিমাণের হরিণ পালন করতে পারবেন না। আপনার পালন করার স্থান টির উপর নির্ভর করে সরকার আপনাকে কতটি হরিণ পালন করতে পারবেন তার অনুমতি দেবে। কেননা হরিণ পালনে হরিণের জন্য পরিমান মত জায়গা না হলে হরিণ দ্রুত বড় হবে না। এবং অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার জন্য সরকার আপনাকে আপনার খামারের আয়তনের উপর নির্ভর করে হরিণ পালনের অনুমতি দেবে।

হরিণ পালনের সাধারণত কাটা ঘাস খাওয়ানো হয়। তবে বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। যেগুলোতে স্বাস্থ্য গুনাগুন পরিমান মত থাকে বলে এগুলো খাওয়ালে খুব তাড়াতাড়ি বড় হয় এবং স্বাস্থ্যবান থাকে। তবে খামারের আয়তন যদি বেশি হয় খামারের ভিতরে এক পাশে ঘাস চাষ করে প্রাকৃতিক খাবারের চাহিদা মেটানো যেতে পারে। সাধারণত এই খাবারগুলো দ্বারাই হরিণের খামার পরিচালনা করা হয়। হরিণ থাকার স্থান সব সময় শুকনো রাখতে হবে। কেমন স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা হলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

তবে হরিণ পালন করার পূর্বে বন বিভাগ থেকে হরিণ খামারের নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত হয়ে খামার শুরু করাটাই উত্তম। আমাদের দেশে দিন দিন হরিণ খামারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্ধারিত বিধি-নিষেধ মেনে সরকারি অনুমতির মাধ্যমে চাইলে সকলেই হরিণের খামার দিতে পারেন। আবার অনেকে শখের বশে হরিণ পালন করে থাকে। কেন তাদের জন্যও ঠিক এরকম বিধি-নিষেধ মেনে তা পালন করতে হয়। হরিণ পালন করার বিধি নিষেধ ও নিয়মকানুন সম্পর্কে জানতে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন।

বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*