খুবই অল্প টাকাই, অসম্ভব সুন্দর বাড়ি বানানোর সহজ ডিজাইন! যা তুমুুল ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। রইল স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি

মাটির ঘর এখন রূপকথার গল্পের মত হয়ে গেছে। কেননা বর্তমানে দশ গ্রাম খুঁজেও

একটি মাটির ঘর পাওয়া মুশকিল। কিছু কিছু প্রত্যন্ত গ্রামে খুব অল্প সংখ্যক মাটির ঘর খুঁজে পাওয়া যাবে। মাটির ঘর বাংলার একটি ঐতিহ্য। তা দিন দিন

প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে হারিয়ে যাচ্ছে।তবে কিছু কিছু সৌখিন মানুষ এই ঐতিহ্য গুলো ধরে রেখেছে। এই কিছু কিছু

সৌখিন মানুষের জন্যই আমরা আমাদের এই বাংলার ঐতিহ্য গুলো এখনো মাঝে মাঝে দেখতে পাই। যতই দিন যাচ্ছে

ততই মানুষ বারতেছে মানুষ বাড়ার সাথে সাথে জায়গা সংকীর্ণ হয়ে আসতেছে আর আগের দিনের মাটির ঘর গুলো

ভেঙ্গে দালানকোঠা তৈরি হচ্ছে।হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের ওই কুটির ঘর গুলো। তৈরি হচ্ছে ইট পাথরের তৈরি বিশাল বিশাল ঘর। আজকের এই ভিডিওতে এমনই কিছু ঘর দেখাতে যাচ্ছি যেগুলো অল্প পুজিতে দালান ঘর তৈরি করতে পারবেন্কিছুদিন আগে ইন্টারনেট একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দেখানো হয় অনেক তলা বিশিষ্ট কতগুলো ঘর।আমি প্রথমেই বলেছি মাটির ঘর এখন রুপকথার গল্পের মতো হয়ে গেছে।

তেমনি যদি একটি গ্রামে মাটির কোটা থাকে।তাহলে এইসব ঘর দেখার জন্য প্রতিদিন উৎসুক জনতার ভিড় করবে। বিভিন্ন দূর-দূরান্ত ও শহর থেকে মানুষ এই ঐতিহ্যবাহী ঘরটিকে দেখতে ভিড় করবে। এধরনের মাটির ঘরের সাথে এ যুগের মানুষ খুব কম পরিচিত । মাটির ঘর হয়তোবা অনেক দেখেছি। কিন্তু তিন তলা বিশিষ্ট মাটির ঘর হয়তো এর পূর্বে দেখি নি।

ভিডিওটিতে বিল্ডিং ঘরের পাশাপাশি পুরনো দিনের অনেক ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র দেখানো হয়েছে। ঘরটির নিচতলায় থাকার ঘর হিসেবে ব্যবহার করলেও দোতলা এবং তিন তলা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। দুতলা এবং তিন তলায় রাখা জিনিস জিনিসপত্রের মধ্যে কিছু পুরোনো দিনের ঐতিহ্যবাহী দৈনন্দিনকার ব্যবহারের জিনিসপত্র রাখা আছে।

যেমন শীতলপাটি, নারিকেলের মালা দিয়ে তৈরি চামচ ইত্যাদি। মাটির ঘরে বসবাস এর মজাই আলাদা। কেননা মাটির ঘরে গরমকালে খুব কম গরম লাগে এবং শীতের দিনেও খুব কম শীত লাগে।এবং বাড়িটিতে পুরনো দিনের একটি ঢেঁকি রয়েছে। বর্তমান যুগে ঢেঁকি প্রায় নেই বললেই চলে। ঢেঁকি দিয়ে চাল, গম ও ভুট্টা গুড়া করা হয়। পিঠা পুলির উৎসবের সময় গ্রামবাংলায় ঢেঁকির ব্যবহার হত বেশি। এই গ্রামটিতে ঐতিহ্যবাহী তিন তলা বাড়ির সাথে একটি অনেক দিনের পুরনো পুকুর রয়েছে।

যা ব্রিটিশ আমলে খনন করা হয়েছিল। এই পুকুরটি গ্রামের পুরনো জিনিস গুলোর মধ্যে একটি। এই পুকুরটি যখন খনন করা হয় তখনকার কেউই এখন বেঁচে নেই।এই ভিডিওগুলো একসময় আমাদের দেশের ঐতিহ্যগুলোর স্মৃতি হয়ে থাকবে। কেননা যুগের পরিবর্তনে আস্তে আস্তে এই ঐতিহ্যবাহী বিষয়গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। বাঙালির ঐতিহ্য আমাদের বাঙালিরাই ধরে রাখা উচিত।

বাঙ্গালীদের এরকম শত শত ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র যুগের পরিবর্তন ও প্রযুক্তির অগ্রগতিরইন্টারনেট এই ভিডিওটি অনেক সাড়া ফেলে।কেননা বর্তমান যুগে এসেও এ বাংলার ঐতিহ্য গুলো দেখতে পেয়ে জনতার মাঝে এক আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে গেছে। সরাসরি না দেখতে পারলে ভিডিওটিতে দেখে মানুষের বাংলার ঐতিহ্য গুলো মনে যাচ্ছে।পুরনো দিনের এই প্রত্যেকটি জিনিস দেখতে ও এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে না টেনে পুরো ভিডিওটি দেখার অনুরোধ রইলো।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*