খাদ্য গুদামের বাইরে তালা, ভেতরে অবৈধ কাজ করেন ফরিদা





খাদ্যগু’দামের বাহিরে তালা লাগিয়ে চাল বস্তায় ভর্তি করে বাহিরে বিক্রির অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল বাবুগঞ্জের





খাদ্যগু’দাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মোসা. ফরিদা খাতুনের বিরু’দ্ধে। বরিশাল জে’লার বাবুগঞ্জ উপজে’লা খাদ্যগু’দামের ভারপ্রা’প্ত কর্মকর্তাসহ





দুজনকে গ্রে’ফতার করেছে পু’লিশ। এ সময় ৮০০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়। কালোবাজারে বিক্রির জন্য খাদ্যগু’দামের চালের বস্তার বদলে





প্লাস্টিকের বস্তায় এসব চাল ভরছিলেন তারা। এ ঘটনায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রসুল জমা’দ্দারসহ মোট আট’জনের





বিরু’দ্ধে থানায় মা’মলা হয়েছে। মা’মলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজে’লার খাদ্যগু’দাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মোসা. ফরিদা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে





গোডাউনে বসে শ্রমিক দিয়ে ৩ নম্বর খাদ্যগু’দামের বাহির দিয়ে তালা লাগিয়ে ২৫ কেজি মনোগ্রাম খচিত জোড়া কবুতর মিনিকেট বস্তায় ভর্তি করে বাহিরে





বিক্রি করে আসছেন। গো’পন সংবাদ পেয়ে উপজে’লা ইউএনও মো. আমীনুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান, বরিশাল জে’লা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকালে
সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে জোড়া কবুতর মিনিকে’টের ১১শ খালি বস্তা ওসিএলএসডির নিজস্ব বাসভবন থেকে ও ৩ নম্বরর খাদ্যগু’দাম থেকে উ’দ্ধার করেন। গোডাউনের ভেতর ২৫ কেজির ৮শ বস্তা চাল থাকায় ওই গু’দামে সিলগালা করে দেন।
জে’লা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাজুল ইসলাম জানান, ফরিদা খাতুনের বিরু’দ্ধে গু’রুতর অনিয়মের অ’ভিযোগ পেয়ে তাকে হাতেনাতে ধ’রার পরিকল্পনা করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী সোর্সের মাধ্যমে গো’পন সূত্রে প্রা’প্ত তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে বাবুগঞ্জের ইউএনও এবং থানার ওসিকে নিয়ে উপজে’লা খাদ্যগু’দামে যৌ’থ অ’ভিযান পরিচালনা করা হয়।
এরপর উপজে’লা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোসা. রুবিনা পারভীন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ওসিএলএসডি ফরিদা খাতুনসহ ৫ জনকে আ’সামি করে বাবুগঞ্জ থানায় মা’মলা দায়ের করেন। মা’মলা দায়েরের পর ওসিএলএসডি ফরিদা খাতুন ও গোডাউনের শ্রমিক মোফাজ্জেলকে পু’লিশ ওই রাতেই গ্রে’ফতার করেন। তাদের দুইজনকে গতকাল শুক্রবার সকালে বরিশাল আ’দালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।