





চিংড়ি মাছ নামটা বাঙালীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় নাম। চুনো চিংড়ি থেকে শুরু করে





গলদা চিংড়ি অবধি, রেসিপি অনেক। তবে চিংড়ি মাছের উপকারিতা ; আয়রনের অভাব দূর করেঃ আয়রনের অভাবে অনেক সময়





আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এই চিংড়ি মাছ আমাদের শরীরে আয়রনের অভাব দূর করতে পারে খুব সহজেই। কারন প্রতি





১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে রয়েছে ১৭% আয়রন। নিয়মিত চিংড়ি মাছ খেলে আমাদের শরীরে আয়রনের অভাব দূর হয়ে যায়। রক্ত স্বল্পতা দূর করতে





চিংড়িঃ চিংড়ী মাছ আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন বা রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে। কারন এতে রয়েছে ভিটামিন বি ১২ । এই ভিটামিন বি ১২ আমাদের শরীরের





রক্ত স্বল্পতা দূর করে। অতিরিক্ত চর্বি কমাতে চিংড়িঃ চিংড়িতে রয়েছে নিয়াসিন নামক অত্যন্ত উপকারী উপাদান। যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনকে এনার্জিতে রুপান্তরিত করে। ফলে শরীরে চর্বি জমার কোন অভিপ্রায় নেই ও ওজন থাকে সঠিক। হাড়ের ক্ষয় রোধ করে চিংড়িঃ নিয়মিত চিংড়ি মাছ খেলে হাড়ের ক্ষয় রোধ হয় এবং হাড় মজবুত থাকে।
কারন চিংড়ি মাছে রয়েছে ফসফরাস নামক এক বেশেষ সাস্থ্যকর উপাদান। বিষন্নতা দূর করে চিংড়িঃ চিংড়ি আমাদের দেহের বিষন্নতা দূর করে। কারন প্রতি ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে রয়েছে ৩৪৭ মিলিগ্রাম ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। বিশিষ্ট গবেষকদের মতে মানবদেহের মস্তিষ্কে সেরেটেনিন উত্পন্ন করে যা আমাদের বিষাদ বা বিষন্নতা দূর করে।
প্রস্রাবের সমস্যায় চিংড়িঃ চিংড়ি মাছে রয়েছে জিংক নামক উপাদান। যা আমাদের প্রস্রাবের বিভিন্ন সমস্যা ও ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এই জিংক মুত্রথলি সংক্রান্ত ক্যান্সার থেকেও সুরক্ষা করতে পারে। ডায়বেটিস সারাতে চিংড়িঃ প্রতি ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে রয়েছে ৮% ম্যাগনেসিয়াম। আর এই ম্যাগনেসিয়াম ডায়বেটিস রোগীদের জন্য একটি আদর্শ উপাদান। ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আর এই ম্যাগনেসিয়াম ডায়বেটিস রোগীদের জন্য গুরুত্বপুর্ণ উপাদান। নিয়মিত চিংড়ি মাছ খেলে ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ সঠিকভাবে বজায় রাখে। ফলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। থাইরয়েডের সমস্যায় চিংড়িঃ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চিংড়ি মাছে রয়েছে এর ১০% কপার। যা আমাদের শরীরে হরমোনের মাত্রা সঠিক রাখে ও থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। নিয়মিত চিংড়ী মাছ খেলে থাইরয়েড জনিত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
ভিডিও দেখতে এখানে কিক্ল করুন
Leave a Reply