ফুটবল ইতিহাসে ম্যারাডোনার যে গোলটি ইতিহাসের পাতায় সারাজীবন মনে রাখবে দর্শকরা!

ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আলােচিত দুটো গােল কী কী?

অবশ্যই হ্যান্ড অব গড’ এবং ‘গােল অব দ্য সেঞ্চুরি’। বিস্ময়ের ব্যাপার হলাে, দুটো গােলই হয়েছিল চার মিনিটের ব্যবধানে!

১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ‘চিরশত্রু’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই দুটো গােল করেন ডিয়েগাে ম্যারাডােনা। ম্যাচের ৫১ মিনিটে

রেফারিকে ফাঁ’কি দিয়ে হাত দিয়ে বল জালে ঠেলেছিলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। এই গােলটি হয়তাে ইতিহাসে কলঙ্কিত হয়েই থাকত। কিন্তু

চার মিনিট পরেই যে অবিশ্বা’স্য গােল তিনি করে দেখালেন, তাতে সব মিলিয়ে পুরাে গল্পটা হয়ে উঠল। ফুটবলীয়-পুরাণের অংশ। ছয় ইংলিশ ফুটবলারকে

কাটিয়ে মাঝমাঠেরও ভেতর থেকে একাই বল টেনে নিয়ে গিয়ে করেন। ম্যাচের এবং নিজের দ্বিতীয় গােল। ‘হ্যান্ড অব গড’ এবং

‘গােল অব দ্য সেঞ্চুরি’ করে আজকের ২২ জুন তারিখকে ম্যারাডােনা অমর’ করে রাখেন ইতিহাসে! স’ঙ্গে নিজেকেও। আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১টি। ম্যাচে খেলে ৩৪টি গােল করেছিলেন ম্যারাডােনা। ১৯৮৬ আসরে প্রতিপক্ষের গােলমুখে আর্জেন্টিনার নেওয়া ১০১ শটের ৫৬ শতাংশে যুক্ত ছিল ম্যারাডােনার নাম। তিনি নিজে নিয়েছিলেন। ৩০টি শট। চূড়ান্ত পাস দিয়েছিলেন ২৭ বার।

১৯৮৬ আসরে সবচেয়ে বেশি ৫৩টি ড্রিবল সম্পন্ন করেছিলেন ম্যারাডােনা। অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে প্রায় আট’বার প্রতিপক্ষকে এড়িয়ে এগিয়ে যেতেন তিনি। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শতাব্দীর সেরা গােল করার সময় একটানে ড্রিবল করেছিলেন ৪টি। আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগাে ম্যারাডােনা ২৫ নভেম্বর ২০২০ সালে হৃদরােগে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে মা’রা গেছেন। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম খবরটি নিশ্চিত করেছে। এর আগে বেশ কয়েক দিন অসুস্থ ছিলেন তিনি।

তিগ্রে’-তে নিজ বাসায় মা’রা যান ম্যারাডােনা। মৃ’ত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছরসে আজীবন স্মর’ণীয় হয়ে থাকবে। আজ এখানেই শেষ করছি। দিয়াগাে ম্যারাডােনার সেই বিশ্ব বিখ্যাত গােলটি দেখতে এই ভিডিও টি দেখতে পারেন। ফুটবল জগতের আরও সব খবরা খবর জানতে আমা’দের সাথে থাকুন। ইউটিউবে সবচাইতে ভাইরাল ভিডিও ছিল এটি। ডিয়েগাে ম্যারাডােনা ভক্তদের হৃদয়ে সবসময় ছিলেন আছেন এবং থাকবেন। ফুটবল জগতে তার নাম সারা জীবন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*